কলকাতা: কালীপুজোয় রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা অবধি পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশই চূড়ান্ত, এমনটাই বুধবার জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নিষিদ্ধ বাজির ব্যবহার রুখতে রাজ্যকে উপযুক্ত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই প্রেক্ষাপটে কলকাতা পুলিশের তরফেও জারি করা হল নির্দেশিকা। 


সেখানে বলা হয়েছে, "মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ২০২১ সালে শুধুমাত্র অনুমোদিত 'সবুজ বাজি' (গ্রিন ক্র্যাকার্স) ব্যতীত পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত ধরনের আতশবাজি আমদানি, ক্রয়, বিক্রয়, মজুত এবং ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।" পাশাপাশি বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমাও। কলকাতা পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, "দীপাবলি উৎসবে সন্ধ্যা ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টার জন্য সবুজ আতসবাজি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ছট পুজোয় সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টার জন্য এই বাজিতে ছাড়। বড়দিন ও ইংরেজি নর্ববর্ষের শুভারম্ভে রাত ১১.৫৫ থেকে ১২.৩০ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ ৩৫ মিনিটের জন্য সবুজ আতসবাজি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে।" যদি অসঙ্গতি দেখেন সেক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর- ৯৮৭৪৯০১৫২২ ফোন করতে পারেন। কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ করতে পারেন- ৯৪৩২৬২৪৩৬৫ এই নম্বরে। 


আরও পড়ুন, সবুজ বাজি কী? আদৌ কি এই বাজি পরিবেশবান্ধব?


অন্যদিকে, গ্রিন ক্র্যাকার বা সবুজ বাজি নিয়ে ধন্দ কাটাতে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।ইতিমধ্যেই প্রচুর নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে। এর আগে গত শুক্রবার, দূষণ ও করোনা আবহের কথা বলে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, এ’বছরের জন্যও রাজ্যের সর্বত্র, সবরকম বাজি নিষিদ্ধ। বাজির কেনাবেচা, প্রদর্শন বা ব্যবহার, কোনওটাই করা যাবে না। তবে গ্রিন ক্র্যাকার বা পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি কোনগুলো, কীভাবে তা চেনা সম্ভব? এই নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। 


এই প্রেক্ষাপটে এদিনই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নির্দেশিকা দিয়েছে,national environmental engineering research institute বা NEERI-র লোগো দিতে হবে। বাজির বাক্সে থাকবে QR CODE। সেই QR CODE স্ক্যান করলে মিলবে সবুজ বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকারের তথ্য। QR CODE স্ক্যান করার জন্য অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে গুগল প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপল স্টোর থেকে। এদিন আদালতের নির্দেশ মেনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে বাজি সংক্রান্ত সচেতনতামূলক অভিযান।