রানা দাস, বর্ধমান: হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ার অভিযোগ। গাছতলায় সন্তান প্রসব কাটোয়ার গৃহবধূর। প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে আজ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আসেন সেলিমা বিবি। পরিবার সূত্রে খবর, সেখানে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, প্রসূতিকে হাসপাতালের তরফে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়নি। দীর্ঘক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করার পর হাসপাতাল চত্বরেই গাছতলায় পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ওই বধূ। পরে পরিবারের সদস্যরা মা ও সন্তানকে স্ট্রেচারে করে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যান। এই ঘটনায় তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক।


সময়মতো অ্যাম্বুল্যান্স না আসায় হাসপাতাল থেকে রেফার করা মুমূর্ষু প্রসূতির গাছতলাতেই প্রসব হল পুত্রসন্তান। এই ঘটনায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার দুপুরে কাটোয়া থানার করজগ্রামের বাসিন্দা প্রসূতি সেলিমা বিবিকে পেটে যন্ত্রণা নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেলিমা বিবির অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় হাসপাতালের এক চিকিৎসক তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সরকারি অ্যাম্বুল্য়ান্স দেরিতে আসায় হাসপাতাল চত্বরে গাছতলায় সেলিমা বিবি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।


প্রসূতির পরিজনদের অভিযোগ, ওই সময়  তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে বারবার নার্সদের ডাকলেও, প্রসূতিকে কেউ দেখতে আসেননি। প্রসূতির আত্মীয়দের অভিযোগ, রেফার করার নাম করে হাসপাতাল থেকে সেলিমা বিবিকে অ্যাম্বুল্য়ান্স আসার আগেই হাসপাতালের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য প্রায় দু’ঘন্টা অপেক্ষা করার পর এই ঘটনা ঘটেছে।



সুপারের দায়িত্বে থাকা কাটোয়া মহকুমার অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভজ্যোতি দত্তর দাবি, ‘কোনও রোগীকে বের করা হয় না। রেফার রোগীর ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হয়। রেফারের ক্ষেত্রে রেডি অ্যাম্বুল্য়ান্স  ছাড়া রোগীকে হাসপাতাল থেকে বাইরে বের করা যায় না। এই ঘটনার তদন্ত করা হবে।’


এদিকে, সদ্যোজাত সন্তান সহ সেলিমা বিবিকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। সদ্যোজাতকে এসএনসিইউতে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে।