বেলুড়: চোখের জলে চিরবিদায়। দিনভর বেলুড় মঠে ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দকে। রাতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বেলুড় মঠের গঙ্গাতীরে সম্পন্ন শেষকৃত্য।
দুঃসংবাদ পাওয়ার পর রবিবার সন্ধে থেকেই বেলুড় মঠে জড়ো হয়েছিলেন অগণিত ভক্ত। রাতভর শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর সোমবার ভোর থেকেও শ্বেতপদ্ম ও মালা হাতে সংখ্য মানুষের ভিড়। চোখের জলে চিরবিদায় স্বামী আত্মস্থানন্দকে।
রবিবার রাত থেকে বেলুড় মঠেই শায়িত ছিল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দের দেহ। এদিন রাত পর্যন্ত সেখানেই জানানো হয় শেষ শ্রদ্ধা।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষই শুধু নয়, প্রয়াত মহারাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে অন্যান্য রাজ্য থেকেও বেলুড় মঠে এসে উপস্থিত হন বহু ভক্ত।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, এদিন স্বামীজিকে শেষ শ্রদ্ধা জানান বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। এদিনই বিদেশ সফরে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। উড়ান ধরার আগে বিমানবন্দরে জানান, শেষকৃত্যের আগে গান স্যালুট জানানো হবে স্বামী আত্মস্থানন্দকে। সেই মতো, রাতে শেষকৃত্যের আগে জানানো হয় গান স্যালুট।
বার্ধক্যজনিত রোগের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন ছিলেন স্বামী আত্মস্থানন্দ। রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ৯৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন মহারাজ। শেষকৃত্য সম্পন্ন হল সোমবার রাতে।




  • দিনভর শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর, রাত ৮.১৫ নাগাদ স্বামী আত্মস্থানন্দর শেষযাত্রা শুরু হয় বেলুড় মঠের কালচারাল হল থেকে।

  • রাত ৮.২৫: রামকৃষ্ণ মন্দিরের সামনে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ।

  • রাত ৯ টা পর্যন্ত দেহ সায়িত ছিল বেলুড় মঠ প্রাঙ্গন ও পুরনো মন্দিরের সামনে। এখানেও শেষ শ্রদ্ধা জানান বহু ভক্ত।

  • রাত ৯.১০: স্বামী ব্রহ্মানন্দের মন্দির এবং সারদা মায়ের মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ।

  • রাত ৯টা ২০: মায়ের ঘাটে স্নান।

  • রাত ৯.২৫:  সারদা মায়ের মন্দিরে জানানো হয় শেষ শ্রদ্ধা।

  • রাত ৯.৩০: স্বামী বিবেকানন্দের মন্দিরের সামনে শায়িত রাখা হয় স্বামী আত্মস্থানন্দের দেহ। শেষকৃত্যের আগে জানানো হয় গান স্যালুট।

  • রাত ৯.৪৫: বেলুড় মঠের গঙ্গাতীরে শুরু হয় স্বামী আত্মস্থানন্দের শেষকৃত্য। আগুনের শিখায় ধীরে ধীরে বিলীন দেহ। ভক্তদের হৃদয়ে চির জাগরুক স্বামী আত্মস্থানন্দ।