কলকাতা: লেকটাউনে এক আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগ উঠল মত্ত এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে তদন্তকারীদের হেনস্থা ও সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ করেছে পুলিশ। ধৃত ওই যুবককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
চেম্বারে ঢুকে আইনজীবীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে শনিবার। অন্যদিকে পুলিশকেও হেনস্থার পাশাপাশি থানায় ভাঙচুরের অভিযোগ মত্ত যুবকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ঘড়ির কাঁটায় তখন, ঠিক রাত ১১টা ২০। বিধাননগর মহকুমা আদালতের আইনজীবী রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মতো এ দিন রাতেও তখন লেকটাউনে নিজের চেম্বারে ছিলেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, হঠাৎই লেকটাউনের চেম্বারে ঢুকে পড়ে এক মত্ত যুবক। ঢুকেই অকারণে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। আইনজীবী প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর শুরু করে অভিযুক্ত। চেম্বার থেকে ওই যুবককে বের করে দিলে, পাশের একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় সে।
এর পরই লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আইনজীবী। পুলিশের দাবি, চেম্বারের পাশের বাড়িতে ভাঙচুর করার সময় অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে থানার ভিতরে থাকা সিসি ক্যামেরাও ভাঙচুর করে সে। ঘটনার পর অভিযুক্ত মদ্যপ যুবককে গ্রেফতার করে লেকটাউন থানার পুলিশ।
আইনজীবীর সহযোগী জানিয়েছেন, এদিন রাত ১১টা ২০ নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় আসে ওই যুবক। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করা হয় আইনজীবীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, দমদমের বাসিন্দা। থানাতেও সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে সে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে শুক্রবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে মদ্যপান করেন তিনি। সেই বন্ধুরও খোঁজ চলছে। এর পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আইনজীবীর দাবি, তিনি ওই যুবককে চেনেন না। কী কারণে তিনি আইনজীবীর চেম্বারে হামলা চালালেন তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।