সুনীত হালদার, হাওড়া: কথায় বলে ‘স্বভাব যায় না মলে’। পড়াশোনা জানা ছেলে। পড়াশোনা বলতে ইংরেজিতে এমএ। কিন্তু বখে যাওয়া ছেলে কোনও ভদ্রস্থ কাজ বেছে নেওয়ার পথে হাঁটেনি।  ছেলের এই স্বভাবের কারণে মা আত্মহত্য়া করলেও চুরির নেশা ছাড়তে পারেনি। সে চুরিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর তা করতে গিয়ে ফের পুলিশের জালে ধরা পড়েছে সে। হাওড়া পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
 একটি চুরির কিনারা করতে গিয়ে এই  বড়সড় সাফল্য পেল হাওড়ার সাঁকরাইল থানার পুলিশ।গ্রেফতার করা হল আসানসোলের বাসিন্দা মূল পান্ডা সৌমাল্য চৌধুরী সহ মোট তিনজনকে।ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সোনার গহনা।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সৌমাল্য চৌধুরী ইংরেজিতে এম এ পাস। ২০১৫ তে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেছিল সে।  কিন্তু চুরি করাই তার নেশা।এটাকে পেশা হিসেবেই বেছে নেয় সে। বাড়ি ছেড়ে চুরির চক্র গড়ে তোলে সে।
আসানসোল হাওড়া হুগলী জেলায় কমপক্ষে কুড়িটি চুরির ঘটনায় সে যুক্ত।তার বাবা সরকারি অফিসার ছিলেন।মা ছিলেন শিক্ষিকা।ছেলের কুকীর্তির কথা জানতে পেরে তিনি আত্মঘাতী হন।এতেও শোধরায়নি সৌমাল্য।চুরি করাকেই পেশা করে নেয়।একবার আসানসোল পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কয়েকমাসের জন্য জেল খেটে ছাড়া পায় সে।
গত নয়ই জুন হাওড়ার সাকরাইল থানার অন্তর্গত দুইলা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় দশ ভরি সোনার গহনা চুরি করে চম্পট দেয় সে।স্কুটি করে পালাবার সময় ফ্ল্যাটের এক আবাসিক স্কুটির নম্বর লিখে নেয়।এই নম্বর এর সূত্র ধরেই পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সৌমাল্য চৌধুরী ও তার এক সাগরেদ প্রকাশ শাসমলকে।এরপর পশ্চিম মেদিনীপুর এর দাসপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মাধব সামন্তকে।হাওড়া সিটি পুলিশের ডি সি সাউথ প্রতীক্ষা ঝাঁকরিয়া জানা,  মাধব সামন্তকে চুরির মাল বিক্রি করেছিল এরা।হাওড়াতে বিভিন্ন এলাকায় নয়টি চুরি করেছে অভিযুক্তরা।এদের আজ হাওড়া আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেবার আবেদন করেছে পুলিশ।অনুমান বাকি চুরির ঘটনার কিনারা করা যাবে।