মালদা:  মাধ্যমিক পরীক্ষার ঠিক আগে স্কুলের শৌচাগারে হাত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার এক ছাত্রী। ছেঁড়া অবস্থায় মিলল অ্যাডমিট কার্ড। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য মালদার স্কুলে। আপাতত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই ছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে জেলা শিক্ষা দফতর। কীভাবে তাঁর এই অবস্থা হল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এই ঘটনা ঘিরেই সোমবার চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদার বামনগোলা হাই স্কুলে। কর্তৃপক্ষের দাবি,  সোমবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগেই দেখা যায়, এক ছাত্রী নেই।

বন্ধুদের সঙ্গে শৌচাগারে গিয়েছিল সে। তবে বন্ধুরা ফিরে এলেও ওই ছাত্রী ফেরেনি।

স্কুলের এক কর্মীর দাবি,  খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে দেখা যায়, অচেতন অবস্থায় ওই ছাত্রী শৌচাগারে পড়ে রয়েছে। তার হাত ও মুখ বাঁধা ছিল। পাশে পড়ে ছিল ছেঁড়া অ্যাডমিট কার্ড।

তৎক্ষণাৎ ওই ছাত্রীকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। একটু সুস্থ হলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই তার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে জেলা শিক্ষা দফতর। হাতে চোট থাকায় পাঠানো হয় রাইটার। কিন্তু, শৌচাগারে ছাত্রীর এই অবস্থা হল কীকরে? মাধ্যমিকের জন্য স্কুলে কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটল কী করে? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।