দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাত পেরোলেই উপনির্বাচন মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তুঙ্গে প্রস্ততি। তারপরও ঘুড়েফিরে আসছে পঞ্চায়েত ভোটের আতঙ্ক।
তৃণমূল বিধায়ক কস্তুরী দাসের মৃত্যুর কারণে, সোমবার উপনির্বাচন হতে চলেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মহেশতলায়। তুঙ্গে প্রস্তুতি। তবে ঘুড়েফিরে আসছে সেই পঞ্চায়েত ভোটের আতঙ্ক। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে প্রিসাইডিং অফিসারের মৃত্যু এখনও ভাবাচ্ছে সবাইকে। ভোটের ডিউটি দিতে গিয়ে আর ঘরে ফেরেননি রাজকুমার রায়। কিন্তু ভোট করে ঘরে ফিরতে চান মহেশতলার ভোটকর্মীরা। পোলিং অফিসার আরমান আলি বলেন, একটু টেনশন আছে, বাড়ির লোকেরা ফোন করছে সব ঠিক আছে কিনা, আবেদন করব শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে ভোট হয়, ঠিক মতো যাতে বাড়ি ফিরতে পারি।




ভয়ের কোনও কারণ নেই বলে আশ্বাস দিচ্ছেন ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার সুপার। পুলিশ সুপার জেলা কোটেশ্বর রাও বলেন, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোট করাই লক্ষ্য, ভয়ের কোনও ব্যপার নেই, কেউ ভয় পাবেন না। সুষ্ঠুভাবে উপনির্বাচন শেষ করতে মোট ১০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। রাস্তাঘাট ও ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৯ কোম্পানির বাহিনী। প্রতি বুথে ৪-৫ জন আধাসেনা ও একজন লাঠিধারী পুলিশ থাকবে। মোবাইল পেট্রোলিং ভ্যান থাকছে ৮টি। ৫ কুইক রেসপন্স টিম। এলাকার ৯টি পয়েন্ট চলছে নাকা চেকিং।
কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা মহেশতলা। এতকিছুর পরও নির্বিঘ্নেই মিটবে তো ভোট? সবার মনে প্রশ্ন এখন সেটাই।

Web Desk, ABP Ananda