কলকাতা: ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মহেশতলায় দু’নম্বর স্থানে ছিল সিপিএম। কিন্তু দু’বছরের মাথায় হওয়া উপনির্বাচনে দুই থেকে তিনে নেমে এল তারা। গতবার বামেরা মহেশতলায় পেয়েছিল ৪২ শতাংশ ভোট। সেটাই এবার কমে হয়েছে মাত্র ১৭ শতাংশে। অর্থাত দু’বছরে তাদের ভোট কমেছে মাত্র ২৫ শতাংশ।
মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস কোনও প্রার্থী দেয়নি। মূল লড়াই হয়েছে তৃণমূল, বিজেপি ও বামেদের মধ্যে। সেই লড়াইয়ে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ১ লক্ষ ৪ হাজার ৮১৮ ভোট। ৪২ হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। তৃতীয় স্থানে থাকা বাম প্রার্থীর ঝুলিতে এসেছে, ৩০ হাজার ৩৮৪।

কিন্তু, বিজেপির কাছে লাগাতার জায়গা খোয়াতে থাকলেও, আলিমুদ্দিন তাদের সাংগঠনিক ব্যার্থতা মানতে নারাজ। উল্টো ফল বেরোনোর পর বিমান বসুদের গলায় নতুন অজুহাত! বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, ছাপ্পা ভোট হয়েছে ২৩ বুথে। ২৩ হাজার মানুষ ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু, ফল ঘোষণার পর বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান ‘সন্ত্রাসের তত্ত্ব’ খাড়া করলেও, ভোটের দিন কিন্তু জেলা সিপিএম নেতৃত্ব সম্পূর্ণ অন্য কথা বলেছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা সিপিএম জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ি বলেন, আদর্শ ভোট। সুষ্ঠু ভোট হয়েছে, যা ফল হবে মানতে হবে।
সিপিএমের অজুহাতকে কটাক্ষ করছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সেদিন তো বলেনি! বিমান বাবু পরে সব কিছু বলেন। বুঝতে দেরি হয়। এটাই সিপিএমের সমস্যা। কিন্তু, অনেকেরই প্রশ্ন, সাংগঠনিক ব্যর্থতা স্বীকার করে তা মেরামতের চেষ্টার পরিবর্তে কেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে সিপিএম?