অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: টিয়াপাখি পাচার করাই লক্ষ্য ছিল। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় সেই লক্ষ্যে সফল হতে পারলেন না পাচারকারীরা। পাচার করার আগেই প্রায় হাজার খানেক টিয়াপাখি উদ্ধার করল রেল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদায়।


পাচারের আগে হাজার খানেক টিয়াপাখি উদ্ধার করল রেল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর অনুযায়ী মালদা আরপিএফ এর একটি দল মালদা স্টেশনে এসে পৌঁছোন। সেখানে মঙ্গলবার রাতে যোগবানি কলকাতা গামী ট্রেন মালদা স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মে এসে পৌঁছোয়। সেখানেই পুলিশ এসে এই টিয়া পাচারকারিকে ধরে।


ট্রেনের ৮ নম্বর স্লিপার কোচ সন্ধান করে প্রায় হাজার খানেক টিয়া ও একটি ময়না পাখি উদ্ধার করে । তার সাথে ধরা পড়ে শেখ শহীদ নামে এক চোরাকারবারি । এদিন রাতেই আরপিএফ মালদা ফরেস্ট রেঞ্জ  অফিস এর অফিসারের কাছে অভিযুক্ত সহ টিয়া পাখি গুলো তুলে দেয়।


মালদা আরপিএফ এর ইন্সপেক্টর বি শর্মা আরও জানান, 'ধৃত যুবক কাটিহার থেকে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেছিল। আর সেই টিকিট বর্ধমান পর্যন্ত কাটা ছিল। বিশেষ সূত্রে খবর, আগে থেকেই ছিল যার ফলে ট্রেনটি যখন তিন নম্বর প্লাটফর্মে ঢুকে তখনই আমাদের আরপিএফ কর্মীরা ৮ নম্বর স্লিপার কোচের উঠে তল্লাশি চালিয়ে টিয়া পাখি সমেত ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তবে ধৃত ওই যুবক পাখিগুলি কোথা থেকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল সেটা এখনও পরিষ্কার হয়নি। তবে ওই যুবক পাচারকারীর কাজে যুক্ত। আমরা উদ্ধার হওয়া পাখি গুলি সহ ধৃত ওই যুবককে মালদা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসারের হাতে তুলে দিয়েছি।' ঐ যুবককে এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আর কেউই এই দলে জড়়িয়ে কিনা তা দেখা হচ্ছে। 


এর আগেও রেল পুলিশের তৎপরতায় এরকম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কিছু পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হয়েছে। কিছুদিন আগে চন্দন কাঠ নিয়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন একদল পাচারকারী।