করুণাময় সিংহ ও সৌভিক মজুমদার মালদা: প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা নিয়ে চাপানউতোর গড়াল হাইকোর্টে। দলেরই প্রধানের বিরুদ্ধে তলবি সভা ডাকার আবেদন জানালেন তৃণমূলের ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্য। মালদার দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল তরজা। 


প্রধান দুর্নীতিগ্রস্ত। এই অভিযোগে তাঁর অপসারণের দাবি তুলেছেন তৃণমূলের ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্য। যার জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। আর এনিয়ে মালদার দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব। 


দৌলতনগর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য, পিন্টু যাদব জানিয়েছেন, 'প্রায় ২ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন প্রধান, বিডিও তলবি সভা ডাকছেন না, তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া।' স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস খানেক আগে তৃণমূলের ১৮ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে ১২ জনই, প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে বিডিওর কাছে আবেদন করেন। অভিযোগ, তলবি সভা ডাকা নিয়ে টালবাহানা করছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও। 


এর পরই এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ১২ জন তৃণমূল সদস্য। মামলাকারীদের আইনজীবী তাপসকুমার মণ্ডলের কথায়, 'বিডিও প্রধানের সঙ্গে জড়িত, তাই তলবি সভা ডাকছেন না, আদালতে মামলা হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিডিও পার্থ দাস, রিট পিটিশনের কাগজ এলে পুরোটা পরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।'


যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান। দৌলতনগর পঞ্চায়েত তৃণমূল নেতা ও প্রধান, নজিবুর রহমান জানিয়েছেন, 'দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমি এমনিই পদত্যাগ করব।'


প্রধানকে নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি। মালদার বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলের কথায়, 'আসলে তৃণমূলের কথা শুনে এসব হচ্ছে, লজ্জা নিবারণের জন্য এধরনের ব্যবস্থা করছে তৃণমূল।' মালদা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস বলছেন, 'ওখানে সমস্যা আছে, আমরা দু-পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে মেটাব।' উল্লেখ্য, তলবি সভা ডাকা নিয়ে মামলা শুনানি ১৪ জুলাই।