করুণাময় সিংহ, মালদা: ইংল্যান্ড, ইতালি, জার্মানির পর এবারে কাতারে পাড়ি দিচ্ছে মালদার আম। কাতারের দোহায় আন্তর্জাতিক উৎসবে মালদার ফজলি, লক্ষণভোগ, ল্যাংড়ার মতো আটটি প্রজাতির আম প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বিশ্ববাজারে মালদার আমাকে তুলে ধরার জন্য রাজ্য সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সে ফলের রাজা। জগৎজোড়া তার খ্যাতি। ফের বিদেশ বিভুঁইয়ে পাড়ি ফলের রাজার। জগৎসভায় আরও একবার বাংলার জয় গানের সুযোগ। কাতারের দোহায় আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নিতে চলল মালদার আম। স্বাদ, গন্ধের জন্য যা পৃথিবী বিখ্যাত। আর এতে মালদাবাসী তো বটেই গর্বিত সারা রাজ্যের মানুষ।
জেলার প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়। আম চাষের সঙ্গে যুক্ত কয়েক লক্ষ পরিবার। জানা গিয়েছে, এ বছরে সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি উৎপাদন হয়েছে মালদায়। একদিকে বাংলাদেশের রফতানি বন্ধ। অন্যদিকে করোনার ছোবলে দেশীয় বাজারে সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না মালদার আম। তাই উদ্যানপালন দফতরের তরফে বিশ্ববাজারে মালদার আমকে তুলে ধরতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ইতিমধ্যে ইংল্যান্ড, ইতালি ও জার্মানির পাড়ি দিয়েছে মালদার হিমসাগর, ল্যাংড়া। এবার পাড়ি দিচ্ছে সুদূর কাতারে।
আগামী ৭ ও ৮ ই জুলাই কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক আম উৎসব। সেই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে মালদার আম পাড়ি দিচ্ছে কাতারে। একাধিক প্রজাতির আম কাতারের আম উৎসবে সামিল হবে। কী কী থাকছে এই তালিকা? জানা গিয়েছে, ফজলি, ল্যাংড়া, লক্ষণভোগ এর পাশাপাশি আম্রপালি মল্লিকাও রয়েছে তালিকায়। বিপুল পরিমাণে উৎপাদিত মালদার আমকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উদ্যানপালন দফতর। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মালদার আম ব্যবসায়ী থেকে মালদাবাসী।
উল্লেখ্য, গত মাসে মালদার আমকে বিশ্ব বাজারে রফতানির জন্য প্যাকেজিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক প্যাক হাউস তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নতুন প্যাক হাউসের জন্য খরচ হবে প্রায় ৫ কোটি টাকা। সময় লাগবে ৬ মাস। ব্যবসায়ীদের আশা, ইংরেজবাজারে প্যাক হাউস হলে, আমের প্যাকেজিং ঠিকমতো হবে। তার ফলে আমের বিদেশযাত্রা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।