মেদিনীপুর: রাজ্যের উন্নয়নই পাখির চোখ। উন্নয়নের কাজে গতি আনতে প্রশাসনিক কর্তাদের প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাশাসক থেকে বিডিওদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরুর বার্তাও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে বিডিওদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিজেদের রেকর্ড নিজেদেরই ভাঙতে হবে। নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতে হবে। তা হলেই রাজ্য এগোবে। রাজ্যের সুনাম বাড়বে।
কীভাবে উন্নয়নের কাজে গতি আসবে এ দিনের বৈঠকে তারও দিশা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, প্রশাসনের অন্দরে তিনি জীবন-সাথী ডায়েরি চালু করতে চান। যেখানে প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রতিদিন লিখে রাখতে হবে কী কাজ তাঁরা করলেন এবং আগামী দিনের জন্য কী পরিকল্পনা রয়েছে।


আগামী দিনে দলীয় বিধায়ক-সাংসদদের জন্যও এরকম ডায়েরি চালু করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে, রাজ্যস্তরে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার চালু করেছেন তিনি।

এ বার জেলা থেকে ব্লক স্তরেও প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার চালু হবে বলে এ দিন বৈঠকে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি এও জানিয়েছেন, যে সমস্ত সরকারি আধিকারিক অভাবনীয় কাজ করবেন, তাঁদের পুরস্কার ও শংসাপত্র দেওয়া হবে। যা আগামী দিনে তাঁদের পদোন্নতিতে সহায়ক হবে।
খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা যাতে সবার কাছে পৌঁছয় তার উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে তিনি বলেন, অনেকের নামেই একাধিক রেশন কার্ড রয়েছে। এতে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে। রেশন ডিলাররা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এই সব কার্ড দ্রুত বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, অগ্রাধিকার দিয়ে ত্রুটিহীন ডিজিটাল কার্ড সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
খাদ্যসাথী প্রকল্পের কাজে স্থানীয় ক্লাবগুলিকে যুক্ত করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনকেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।