কলকাতা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাম্প্রতিক বাঁকুড়া সফরে আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে খেয়েছিলেন। আর সোমবার মুকুটমণিপুর থেকে খাতড়ায় যাওয়ার পথে হঠাৎ সর্দারপাড়ার আদিবাসী গ্রামে থেমে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। গাড়ি থেকে নেমে সটান গ্রামবাসীদের কাছে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। একটি কোলের বাচ্চাকে আদর করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে  গ্রামবাসীদের ভিড় ঘিরে ধরে তাঁকে।  খাটিয়ায় বসেই সবার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জানতে চান, কী জলটা ঠিকঠাক আসছে তো? বিনা পয়সায় রেশন, কন্যাশ্রী পাচ্ছেন তো? মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে অনেকেই সমস্যার কথা জানান। কেউ বলেন, আমাদের ঘরটা এখন হয়নি, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবছরই ১০ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। তাঁরাও বাড়ি পাবেন। যাদের মাটির বাড়ি তাঁদের জন্য আগে ব্যবস্থা করা হবে, জানো তো টাকার খুব অভাব সরকারের, ধীরে ধীরে সব হবে, করে দেব।

এরই মধ্যে শাহের সফরে বীরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান বিতর্ককেও সোমবার ফের খুঁচিয়ে তোলেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, একটা মূর্তিতে মালা দিয়েছে। আপনারা বললেন, ওটা বীরসার মূর্তি নয়। শিকারির মূর্তি। আমি শিকারিকে সম্মান জানাই। মিথ্যে কথা বলবে কেন। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙবে। বীরসা বলে আরেকজনের গলায় মালা দেবে। এটা হবে না। আপনারা অপমান করেছেন। এখানে বীরসা মুন্ডার মূর্তি তৈরি করে দেব। এরপর বীরসা মুন্ডার জন্মদিনেও রাজ্যে ছুটি থাকবে। তাকে সম্মান জানিয়ে এই কাজ করতে চাই।

গত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার ২টি আসনেই পদ্ম ফুটেছে। তার নিরিখে, বাঁকুড়ার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের সবকটিতেই এগিয়ে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে লড়াই চরমে! আর এসবের মধ্যে অবহেলিত থেকে যাচ্ছে শুধু আদিবাসীরাই! বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, আদিবাসীদের টাকা দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই, তৃণমূল-বিজেপি এটা এদের কাজ, টাকা দিয়ে ভোট কেনা, এগুলো আমরা কখনও করিনি। লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহলে পদ্ম ফুটেছে। আর তাই বিধানসভায় ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল।