কলকাতা : ত্রিপুরায় আক্রান্ত জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহাকে এসএসকেএমে দেখতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল আগরতলা থেকে বিশেষ বিমানে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের নিয়ে কলকাতায় ফেরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। তাঁদের দেখে এসে মমতা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই ত্রিপুরাতে তৃণমূলের উপর হামলা চালানো হয়েছে।  জয়া, সুদীপের অবস্থা দেখে নেত্রী বলেন, '' যেভাবে মারধর করা হয়েছে, পাথর মারা হয়েছে, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা ভয়ঙ্কর। পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। ওদের মারা হয়েছে। ''


শুধু তাই নয়, ৩৬ ঘণ্টা চিকিত্সাও করা হয়নি তৃণমূলের আক্রান্ত নেতানেত্রীদের। অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, '' ত্রিপুরাতে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। জয়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ওকে মারা হয়েছে। দেবাংশুকে আক্রমণ করা হয়েছে। তারপর তাদের চিকিত্সা তো হয়ইনি, উপরন্তু পানীয় জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।'' পুলিশের বিরুদ্ধে মমতার অভিযোগ, '' ওরাই আমাদের প্রতিনিধিদের মারে, তারপর গ্রেফতার করে।''


তিনি আরও বলেন, ' বিজেপি, একটা দানবীয় দল ত্রিপুরা চালাচ্ছে। পরবর্তী নির্বাচনে আমরাই ত্রিপুরায় জিতব' । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণ নিয়েও আশঙ্কাপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ''বুলেটপ্রুফ গাড়ি ছিল। তাই বেঁচে  গেছে। নইলে গাড়ি চুরমার হয়ে যেত। শুধু তাই নয়, অভিষেকের সিটের পাশে ৫ জন গুণ্ডার জন্য আসন বুক করেছিল বিজেপি। অভিষেকের পদে পদে জীবন সংশয় ছিল। এতকিছু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া সম্ভব নয়। '' বলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

ত্রিপুরায় হামলা নিয়ে দেবাংশু ভট্টাচার্যও অভিযোগ করেন, আহতদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করেনি ত্রিপুরা সরকার। রাতে বিমানবন্দর থেকে জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহাকে এসএসকেএমে নিয়ে আসেন তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী। সুস্থ হলে ফের তাঁরা ত্রিপুরায় যাবেন বলে জানিয়েছেন জয়া দত্ত। 

শনিবার ধলাইয়ের আমবাসায় আক্রান্ত হন, যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহা। এরপরই নিরাপত্তার দাবিতে খোয়াই থানার সামনে অবস্থানে বসেন তাঁরা। রাতভর চলে বিক্ষোভ। এই ঘটনায় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে তৃণমূলের ১৪ জন নেতা-নেত্রীকে গ্রেফতার করে খোয়াই থানার পুলিশ।