কলকাতা: এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও ঢিল মারে কী করে? জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এদিন মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশর সভাস্থল থেকে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও ঢিল মারে কী করে? রাজ্য সরকার সকলকে নিরাপত্তা দেয়। মমতার পরের প্রশ্ন, ‘আমি দিল্লি গেলে তোমরা কী করো? আমি দিল্লি গেলে বিজেপি গাড়ির সামনে ঝামেলা করে।’


নাড্ডার সফর প্রসঙ্গে মমতার কটাক্ষ, ‘গতকাল প্রচার পাননি, গুন্ডা নিয়ে জনসংযোগে গেছিলেন।’ বলেন, ‘বিজেপি বলছে বাংলায় আইনশৃঙ্খলা নেই। কলকাতা সবথেকে সুরক্ষিত শহর। বাংলায় সব উৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে।’


তিনি যোগ করেন, ‘কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি, শুধু মিথ্যে বলছে বিজেপি। ভাষণ দিতে দিতে বিজেপি দলটাই হারিয়ে যাবে। কাল হেস্টিংসে নিজের দলের লোক নিয়েই নাটক করেছেন। যারা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে তারাই ছিল হেস্টিংসে।’


মমতার দাবি, রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে বিরসা মুণ্ডা নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে বিদ্বজ্জনদের সোচ্চার হওয়ার আর্জি জানান তিনি। বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের জন্ম নিয়েও মিথ্যে বলছেন বিজেপি নেতারা। বিরসা মুণ্ডা নিয়েও মিথ্যাচার করেছে বিজেপি। বিদ্বজ্জনরা প্রতিবাদ করুন, প্রতিরোধ করুন।’


বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূলনেত্রীর হুঙ্কার, ‘গোটা বিজেপি দল, কেন্দ্র সরকার একদিকে, আমি একা একদিকে। দেখিয়ে দেব কার কত জোর।’


তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘আরএসএস হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক নয়। স্বামী বিবেকানন্দকে আমরা হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক মনে করি। ওরা একটা ঘৃন্য ধর্মকে হিন্দু ধর্ম বলে চালানোর চেষ্টা করছে। যার সঙ্গে আপনার-আমার কোনও সম্পর্ক নেই। হিটলার-মুসোলিনি এভাবেই কাজ করত।’


কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্ধত বলে কটাক্ষ করে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, ‘মোদি সরকার গণতন্ত্র, সংবিধান মানছে না। রাজীব গাঁধী ৪০০ সাংসদ নিয়েও ঔদ্ধত্য দেখাননি। ৩০০ সাংসদ নিয়ে মোদি যা ইচ্ছে তাই করছেন।’


তৃণমূলনেত্রীর দাবি, কৃষি আন্দোলন থেকে চোখ ঘোরাতে জাতীয়তাবাদী তাস খেলছে বিজেপি। বলেন, ‘কখনও পাকিস্তান, কখনও চিনের নাম করছে। কৃষি আন্দোলন থেকে চোখ ঘোরাতে জাতীয়তাবাদী তাস খেলছে বিজেপি।’