কলকাতা: একদিকে ভোটের পর প্রতিশ্রুতি মতো কৃষকদের ঋণ মকুব করল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। আরেকদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে খাজনা মকুবের সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে তাঁর দাবি, কৃষকদের ঋণ মকুব করা হোক। সামনের বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটে সোমবারই জমির উর্ধ্বসীমা আইনের আওতার বাইরে থাকা কৃষকদের খাজনা মকুবের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা।
এদিন আদিত্যনাথ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে মোট ৩৬ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকার ঋণ মকুবের। এর মধ্যে ছোট ও প্রান্তিক কৃষকদের এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মকুব।
সোমবার খড়গপুরের পর মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের সভা থেকেও কৃষকদের খাজনা মকুবের সিদ্ধান্ত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষিজমি, ল্যান্ড সিলিংয়ের বাইরে যারা আছে, তাদের খাজনা নেবে না সরকার।
সোমবারের মতো মঙ্গলবারও মোদী সরকারের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেন্ট্রালকে বলব কৃষকদের ঋণটা মুকুব করে দিন।
উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপির প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল কৃষিঋণ মকুবের। একাধিক নির্বাচনী প্রচারে সেকথা ফলাও করে প্রচারও করেছিলেন মোদী-সহ দলের শীর্ষ নেতারা।
ভোটে জেতার পর আদিত্যনাথের সরকার সেই প্রতিশ্রুতি পালন করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি মেনে কি মোদী সরকারও দেশজুড়ে কৃষকদের ঋণ মকুবের পথে হাঁটবে? ২০০৮ সালে কৃষকদের ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন মনমোহন সরকার। ২০০৯ সালে ভোটে জিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। মোদী সরকারও কি ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে সেই পথে হাঁটতে পারে? মমতার মাস্টারস্ট্রোকের পাল্টা কি দিতে পারে নয়াদিল্লি? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।