কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও মালদা: প্রথম দিন নির্বিঘ্নে কাটলেও দ্বিতীয় দিনে ফিরল সেই রোগ। মালদা থেকে উত্তর ২৪ পরগনা-- ইংরেজি পরীক্ষার দিন পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের সামনেই দেদার নকল সরবরাহ।
মালদার ইংরেজবাজার থানার শান্তা দেব্যা হাইস্কুলে বহিরাগত যুবকদের পাশাপাশি পিছিয়ে ছিলেন না মহিলারাও। একই ছবি, উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ থানার পূর্বখেজুরবেড়িয়া এমসি ইন্সটিটিউটে। স্কুলের পিছন দিকে শৌচাগার দিয়ে চলে নকল সরবরাহ। তবে প্রশ্ন নিয়ে তেমন অভিযোগ করেনি পরীক্ষার্থীরা। বিরাট কোহলির বায়োগ্রাফি লেখার সুযোগ পেয়ে তারা খুশি।
বিরাটের বায়োগ্রাফির পাশাপাশি, পুলিশকে চিঠি লেখা এসেছে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া নিয়ে। যদিও পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল, পরীক্ষার সময় কারও কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে বাজেয়াপ্ত করা হবে। বাতিল হবে পরীক্ষা।
পর্ষদ সূত্রে খবর, মালদার ২টি এবং উত্তর ২৪ পরগনার একটি স্কুলে বাজেয়াপ্ত করা হয় তিনটি মোবাইল ফোন। পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি তিন ছাত্রকে। উত্তর ২৪ পরগনার আরও তিন পড়ুয়ার ফোন বাজেয়াপ্ত হয় পরীক্ষার আগে। তাদের অবশ্য পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়।
এত কিছুর পরেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বলছে, তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। পর্ষদ আরও জানিয়েছিল, এবার এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কোনওভাবে পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি বাইরে বেরনো সম্ভব নয়। কিন্তু তারপরেও মালদা ও উত্তর ২৪ পরগনায় কেন এই ছবি? তাহলে কি বজ্র আঁটুনিই ফস্কা গেরো হল? প্রশ্ন উঠছে।