কলকাতা: বড়দিনের সকালে জাঁকিয়ে শীতের আমেজ। ১ ডিগ্রি নামল পারদ। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দু’ দিন এমনই থাকবে আবহাওয়া। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এবার শীতের আমেজ গায়ে মেখেই বর্ষবরণের সুযোগ পেতে চলেছেন রাজ্যবাসী।


প্রতিদিনই নামছে তাপমাত্রার পারদ। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে হয়েছে ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগের দিনের তুলনায় ১ ডিগ্রি কম। অনেকটা নেমেছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। এ দিন দমদম ও সল্টলেকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও কমেছে। শহরের মতোই ক্রমে নিম্নগামী হয়েছে জেলাগুলির তাপমাত্রাও। এ দিন দার্জিলিং-এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অগ্রহায়ণে সে ভাবে ঠান্ডার অনুভূতি পাওয়া যায়নি এ বার। সেই বঞ্চনার দুঃখ ঘুচিয়ে অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটিয়েছে শীত। যার দাপটে উত্তর-পশ্চিমের রাজস্থান-পাঞ্জাব-দিল্লি থেকে শুরু করে পুবের বিহার-ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গও হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় কাঁপছে। এ দিন দেশের শীতলতম জায়গা ছিল পাঞ্জাবের অমৃতসর। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছে, শূন্যের চেয়ে মাত্র এক ডিগ্রি বেশি। উত্তর ভারতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার আভাস দিয়েছেন আবহবিদরা। একটা সময় পর তার প্রভাব পড়বে বাংলাতেও। যদিও আবহবিদরা আশ্বস্ত করে বলছেন, বড়দিনে তো বটেই, বছরের বাকি দিনেও কলকাতার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির উপরে ওঠার সম্ভাবনা নেই। মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তাপমাত্রা যে ভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে কমেছে, এ বার আর তা হবে না। ওঠা-নামা হবে। আপাতত কোনও শক্তিশালী পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকছে না। ফলে মেঘলা হয়ে ঠান্ডা কমে যাবে, এমন আশঙ্কা নেই।’

সাধারণত মাঝ ডিসেম্বরের আগে শীত থিতু হয় না কলকাতায়। তবে শুরুতে বিক্ষিপ্ত ভাবে দু’-একদিন তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পতন দেখতে পাওয়া যায়। এ বার তেমন দেখা যায়নি। কারণ একের পর এক বাধা। নভেম্বরে দুই সাগরে ঘূর্ণিঝড় উত্তুরে বাতাসে আনাগোনা রুখে দিয়েছিল। ডিসেম্বরের শুরু থেকে এই সেদিন পর্যন্তও বাধার পাঁচিল তুলে দাঁড়িয়েছিল পরের পর পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। আপাতত আর শক্তিশালী ঝঞ্ঝা নেই। সেই সুযোগে হিমালয়ের তুষারছোঁয়া বাতাস নেমে আসছে সমতলে। একটানা ঠান্ডায় কাঁপছে উত্তর ভারত। গত ক’দিন ধরেই দিল্লির তাপমাত্রা চার ডিগ্রির আশপাশে রয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন এরকম জাঁকিয়ে শীতই বজায় থাকবে রাজ্যজুড়ে। ফলে বড়দিনে ও বর্ষবরণে ভালোই শীতের আমেজ উপভোগ করবেন বঙ্গবাসী।