কলকাতা: বাকি আর মাত্র কয়েক মাস। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল হল। যেখানে গুরুত্ব কমল মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট সদস্য পূর্ণেন্দু বসুর!
তাঁকে কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর থেকে সরিয়ে কারিগরি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী করা হয়েছে। রাজ্যের নতুন কৃষি মন্ত্রী রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ছেড়ে যাওয়া পরিসংখ্যান ও রূপায়ণ দফতরে আনা হয়েছে, অসীমা পাত্রকে। তিনি এতদিন ছিলেন কারিগরি শিক্ষা দফতরে।
তিনটি রদবদলের মধ্যে প্রথমটি, অর্থাত, পূর্ণেন্দু বসুর দফতর বদল, যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ এবং ইঙ্গিতবাহী বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। সূত্রের খবর, কৃষি দফতরের কাজে অসন্তুষ্ট ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, যে ২০টি দফতর পরিকল্পনার মাত্র ১৫ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেরেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল কৃষি।
সোমবার রাজ্যস্তেরের ১৪তম প্রশাসনিক মূল্যায়ন বৈঠকে ওই সব দফতরের কড়া সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, দ্রুত কাজ শেষ করুন। কাজ করতে না পারলে টাকা ফেরত দিন অর্থ দফতরের কাছে। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই হুঁশিয়ারি দু’দিনের মধ্যেই মন্ত্রিসভায় রদবদল সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হল।
যদিও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার জানিয়েছেন, পূর্ণেন্দু বসু কৃষিতে খুব ভাল কাজ করেছেন। আগামী দিনে কারিগরি শিক্ষায় প্রচণ্ড গুরুত্ব দিতে চায় রাজ্য সরকার। সে কারণে তাঁকে ওই দফতরের মন্ত্রী করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, দফতরের নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে, কৃষি দফতরের সচিবদের সঙ্গে পূর্ণেন্দু বসুর মতপার্থক্য তৈরি হচ্ছিল। সেটাও কি এই রদবদলে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে? জল্পনা প্রশাসনিক মহলে।