দার্জিলিং: স্কুলে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল কিশোরী! এক মাস পর ফুটফুটে মেয়েটার বিবস্ত্র দেহ মিলল ঝর্ণার মধ্যে! পাথর চাপা দেওয়া অবস্থায়! এই ঘটনায় কার্শিয়ঙের চা-মহল্লাজুড়ে এখন শুধুই আতঙ্ক আর উদ্বেগ!
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৬ নভেম্বর সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বছর পনেরোর ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু আর ফিরে আসেনি। কিশোরীর মা চা শ্রমিক, বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা।
ওই দিন সন্ধেয় ছাত্রীর বাবার কাছে একটি ফোন আসে। পাশের একটি চা বাগানের কেয়ারটেকার বলেন, তিনি রাস্তার মধ্যে ওই ছাত্রীর পোশাক, স্কুল ব্যাগ ও জুতো পড়ে থাকতে দেখেছেন।
এই খবর পেয়ে পেয়ে ছুটে যায় কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয়রা। কিন্তু অনেক খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি কিশোরীকে। অবশেষে খোঁজ মেলে শনিবার! এই ঝর্ণার মধ্যে!
পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকজন বাচ্চা মাছ ধরার সময় দেখতে পায়, পাথরের ফাঁক দিয়ে একটি হাত বেরিয়ে আছে! খবর পাওয়া মাত্র সেখানে চলে যান স্থানীয়রা। উদ্ধার হয় পচা-গলা দেহ। হাতের আঙটি দেখে মেয়েকে সনাক্ত করেন নিখোঁজ ছাত্রীর বাবা। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে পরিবার। মৃতের বাবা বলেন, আর যেন কোনও পরিবারের এরকম না হয়।
পুলিশের অনুমান, যেভাবে একাধিক বড় বড় পাথর দিয়ে ছাত্রীর দেহ, ঝর্ণার মধ্যে চাপা দেওয়া হয়েছিল, তাতে একাধিক ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত। কিন্তু তারা কারা? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।