কলকাতা: বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় গ্রেফতার কে ডি সিংহ। বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভার সাংসদকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
ইডি-র দাবি, অ্যালকেমিস্টের নামে কোটি কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল ও আজ ইডি-র সদর দফতরে ডাকা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কে ডি সিংহকে।ইডি-র দাবি, তদন্তে সহযোগিতা না করায়, শেষপর্যন্ত তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি।
এদিন দিল্লিতে অ্যালকেমিস্টের কর্ণধারকে গ্রেফতার করেন ইডি-র সদর দফতরের আধিকারিকরা। বেআইনী আর্থিক লেনদেন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। আজই আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেন বিচারক।
ইডি সূত্রে খবর, ‘কেডি সিংহের দিল্লির বাড়ি থেকে ১০ হাজার ডলার করা হয়েছে। এছাড়া, হিসেব বহির্ভূত ৩২ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের।
এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১০ লক্ষ পরিবার প্রতারিত হয়েছে অ্যালকেমিস্টের দ্বারা। তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদের হাতে সর্বস্ব খুইয়েছেন বহু প্রান্তিক ও গরিব মানুষ। আমার মতে, শুধু গ্রেফতারি নয়, কেডি সিংহের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আবার নিশানা করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে। বলেন, সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেন তাঁর চিঠিতে পরিষ্কার জানিয়েছেন, অ্যালকেমিস্টের মুখ ছিলেন মুকুল। কুণালের দাবি, দলকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূলে কেডি সিংহকে এনেছিলেন মুকুলই। এই কারণে, তিনি মুকুলের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবি তোলেন।
কুণালের আরও দাবি, এসব কিছু থেকে বাঁচতেই বিজেপির পায়ে গিয়ে পড়ে রয়েছেন মুকুল। তিনি যোগ করেন, কেডি যদি বেআইনি কাজ করে থাকেন, তাহলে তা তিনি বুঝবেন। কিন্তু, যদি না করে থাকেন, তাহলে তার প্রতিবাদ জানানো হবে।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, কেডি সিংহের সঙ্গে দলের দীর্ঘদিন কোনও সম্পর্ক নেই। বলেন, তিনি তো এখন তৃণমূলের সাংসদ নন, দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্কও নেই। ফলে, এই নিয়ে এখন মন্তব্য করা অবান্তর।
যদিও, সৌগতর এই যুক্তি মানতে নারাজ বিজেপি। দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, কেডি যখন দুর্নীতি করছেন, যখন অ্যালকেমিস্ট প্রতারণা করছে, সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে স্বাগত জানান ও রাজ্যসভার সাংসদ করেন। ফলে, তৃণমূল বলতে পারে না, যে তিনি এখন দলের কেউ নন।