কলকাতা: মঙ্গলবার বিবেকানন্দের জন্মদিনে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার, জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ।
গতকাল, যুব তৃণমূলের তরফে যুব দিবস উপলক্ষ্যে মিছিল আয়োজন করা হয়েছিল। দক্ষিণে গোলপার্ক থেকে শুরু হয়ে গড়িয়াহাট, ট্র্যাঙ্গুলার পার্ক, রাসবিহারী হয়ে মিছিল শেষ হয় হাজরা মোড়। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজরায় তিনি একটি জনসভাও করেন। সেখান থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানান।
ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ বলেন, বিজেপির কোনও অধিকার নেই, বিবেকানন্দ, নেতাজিকে স্মরণ করার। কারণ, এই সমস্ত মনীষীরা চিলেন ধর্মান্ধতার বিপক্ষে, জাতপাতের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, বিজেপি জাতপাতের রাজনীতি করে...পুরো উল্টো পথ।
তিনি আরও দাবি করেন, তৃণমূলের মিছিল বিজেপি ১০ গুণ ছিল। বলেন, আজ আমরা যে উচ্ছাস দেখলাম, ১০-০ গোল দিলাম ওদের মিছিলকে।
এদিন, সকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, অভিষেকের অভিজ্ঞতা কম, তাই যা বলে তার উল্টো হয়। কোলে চড়ে রাজনীতি করা যায় না।
অভিষেক বলেছিলেন, 'যারা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে, যারা বলে বিদ্যাসাগর সহজপাঠ লিখেছে। তাদের আপনারা ক্ষমা করবেন? এই বিজেপির মুখে রাম, কর্মে নাথুরাম। মুখে বিবেকানন্দ, কর্মে ধর্মে ধর্মে দ্বন্দ্ব।
দিলীপ যোগ গতকালই বলেছিলেন, ‘গুজরাত থেকে এসে অমিত শাহ, মোদীজি ভোটে জেতালে বহিরাগত, আর বিহার থেকে এসে ভোটে জেতালে তিনি বহিরাগত নয়? নিজের বাড়িতে পাঞ্জাবি বউ নিয়ে এসেছেন সেটা বহিরাগত নয়? কেন সোনা নিয়ে আসে, সেইজন্য না কি? আমাদের কার্যকর্তারা আসছেন, কৈলাসজি, শিবপ্রকাশজি, তাঁরা বহিরাগত হয়ে যাচ্ছেন’।
কৃষি আন্দোলনকে সমর্থন করায় বুধবার তৃণমূলকে একহাত নেন দিলীপ। বলেন, তৃণমূল এতদিন কেন নামেনি? পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। দিদিমণির সঙ্গে রয়েছে দালালরা। ওরা ১০ হাজার লোকের মিছিল করলে, আমরা ৫০ হাজার লোকের মিছিল করব। কৃষি আইনের প্রতিবাদে তৃণমূলের পথে নামা প্রসঙ্গে কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।