আলিপুরদুয়ার : পৃথক রাজ্যের দাবি তোলায় এবার সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল যুবর সভাপতি প্রসেনজিৎ কর সৌমিত্র খাঁর পাশাপাশি জন বার্লার বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির দুই সাংসদ ফেসবুক-টিভিতে বিভিন্নভাবে বিবৃতি দিচ্ছেন। এই সমস্ত বিবৃতি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। বাংলা ভাগের চক্রান্ত হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই আজ আলিপুরদুয়ার থানায় বিজেপির দুই সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি আগামী দিনে সমস্ত থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় আন্দোলন শুরু করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। প্রসেনজিতের অভিযোগ, দিল্লির নেতারা উস্কানি দিচ্ছেন। তার জন্যই বাংলার নেতারা বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছেন।
এলাকার মানুষের উন্নয়ন ও চাকরির জন্য পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের প্রয়োজন। বীরভূম, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর আর হুগলির কিছুটা অংশ নিয়ে ১৮০৩-১৮৩২ সাল পর্যন্ত যে পৃথক জঙ্গলমহল জেলা ছিল, সেটিকেই আলাদা রাজ্য করা হোক বলে দাবি জানিয়েছেন সৌমিত্র। তিনি বলেছেন, “নিজেদের বাঁচাতে এবং বাংলার মানুষের চাকরির জন্য, উন্নয়নের জন্য আমরা জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি তুলতেই পারি। এটা কোনও রাজ্যের বিরুদ্ধে নয়। মণিপুর-মিজোরাম আছে, তারা ডেভেলপমেন্ট করছে।’’
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গকে ভেঙে উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। তিনি বলেন, ২ তারিখের পর যে সন্ত্রাস হয়েছে, তারপর এখান থেকে আওয়াজ উঠেছে যে নর্থবেঙ্গল আলাদা হলে আমরা সুরক্ষিত থাকব। আলাদা রাজ্য হলেও ভাল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেও ভাল।
এদিকে বিজেপির দুই সাংসদের দাবি ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। গতকাল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, "উত্তরবঙ্গ উত্তরবঙ্গ করে যে আওয়াজ ওঠানো হয়েছে তার পিছনে সূক্ষ রাজনীতির চাল আছে।"
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, দায়িত্ব জ্ঞানহীন প্রচারমুখী মন্তব্য। ঝাড়গ্রাম সহ যে জেলার নাম সৌমিত্র খাঁ বললেন সেখানে গোহারা হয়েছে বিজেপি। এটা বিজেপির গেম প্ল্যান।