বর্ধমান ও কলকাতা: মলয় ঘটকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি বিজেপির। আর তা ঘিরেই বিজেপি-তৃণমূল ধুন্ধুমার। দিনভর অগ্নিগর্ভ হয়ে থাকল আসানসোল। বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বাবুল সুপ্রিয়। মারধর, ইট ছোঁড়াছুঁড়ি থেকে গাড়ি ভাঙচুর।
এলাকার আইনশৃঙ্খলা ও দূষণ নিয়ন্ত্রনে নির্বিকার প্রশাসন। এই অভিযোগে বুধবার মলয় ঘটকের বাড়ির সামনে পথ অবরোধের কর্মসূচি নেয় বিজেপি। কিন্তু আগে থেকে এই খবর পেয়ে যাওয়ায়, দুপুরে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে যান কয়েকশো তৃণমূলকর্মী। এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে তুলকালাম শুরু হয়ে যায়...ঘটনার আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহরে। পুলিশ লাইন মোড় থেকে কর্পোরেশন মোড় তাণ্ডব চলতে থাকে সর্বত্র।
বিজেপি নেতাদের আটক করে পুলিশ। প্রতিবাদে আসানসোল দক্ষিণ পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখানে পৌঁছে যায় শাসক দলের কর্মীরা। ফাঁড়ির বাইরে দুটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চলে। দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
স্থানীয় বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় যখন ফাঁড়িতে আসছিলেন, তখন বিএনআর মোড়ে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ইট ছোড়া হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দিকে।
এরপর ঘটনাস্থলে যান তৃণমূল পরিচালিত আসানসোল পুরসভার মেয়র, ডেপুটি মেয়র এবং মেয়র পারিষদ তথা মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ। দলীয় কর্মীদের সরে যেতে বলেন তাঁরা। এরপর তৃণমূলের ডেপুটি মেয়র বাবুলকে উদ্ধার করে, গাড়িতে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। গোটা ঘটনার জন্য বিজেপি কর্মীদেরই দায়ী করেছে তৃণমূল।
আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, জেপির লোকজনই বাবুলকে মেরেছে। প্রতিশ্রুতি পালন করেনি তাই..তৃণমূলের কেউ ইট ছোঁড়েনি।  তৃণমূলের দাবি, যাবতীয় গণ্ডগোলের শুরুটাই করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে আরও উস্কানি দেওয়া হয়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, প্রশাসনের কাছে যেতে পারত, মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও, তৃণমূলকর্মীরা বরদাস্ত করা হবে না।
এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার আসানসোল বনধর ডাক দিয়েছে বিজেপি। সব জেলা সদরের পাশাপাশি কলকাতার হাজরা মোড়েও বিক্ষোভ দেখাবে তারা।