কলকাতা  : প্রয়াত মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়। পরিবার সূত্রে খবর, আজ ভোর পৌনে ৫টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। আগামীকাল দেহ নিয়ে আসা হবে কলকাতায়। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মুকুল রায়ের স্ত্রীকে ১১ মে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভেন্টিলেশনে থাকার পর ২ সপ্তাহ ছিলেন একমো সাপোর্টে। এরপর ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাই। তাঁঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন ছেলে শুভ্রাংশু রায়। তিনি সেখানেই রয়েছেন বলে জানা গেছে। 


এই দুঃসংবাদ পাওয়ার পর তৃণমূল নেতারা সল্টেলেকে মুকুল রায়ের বাড়িতে আসেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুজিত বসু সল্টলেকের বাড়িতে গিয়ে মুকুলের সঙ্গে দেখা করেন। বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সল্টলেকে মুকুল রায়ের বাড়িতে আসেন। 


উল্লেখ্য, ভোটের পর মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। এর আগে   অসুস্থ মুকুল-জায়াকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায়ের স্ত্রীর স্বাস্থ্যের খবর নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি মুকুল রায়কে ফোন করেছিলেন। 


অভিষেক যখন হাসপাতালে গিয়েছিলেন, তখন সেখানে ছিলেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও। তাঁর সঙ্গে অভিষেকের বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছিল। শুভ্রাংশুর সঙ্গে অভিষেক চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন। হাসপাতালে প্রায় ১৫ মিনিট ছিলেন অভিষেক। এ ব্যাপারে শুভ্রাংশু রায় বলেছিলেন, "অভিষেক বা তাঁর বাড়ির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আজকের নয়, দীর্ঘদিনের। অভিষেক  আমার মা'কে সম্মান দেয়। যখন দেখা হয় মায়ের খবর নেয়। এই সৌজন্যতা ভারতের রাজনীতিতে অন্য মাত্রা নিয়ে যাবে। ও যা করেছে, রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে করেছে।" পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর মুকুল রায়কে ফোন প্রসঙ্গে শুভ্রাংশু রায় বলেছিলেন, "প্রধানমন্ত্রী  বিজেপির কর্মকর্তা। বাবাও সেই দলেরই কর্মী। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে বিরোধী দলের হয়ে অভিষেক যা করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।"


এই ঘটনার পর মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু রায় তৃণমূলে ফিরেছিলেন। এরপর কৃষ্ণা রায়কে চিকিৎসার জন্য চেন্নাইতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই প্রয়াত হলেন মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়।