শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারের তুফানগঞ্জে রায়ডাক নদী থেকে উদ্ধার কলেজ পড়ুয়ার মৃতদেহ। পরিবারের দাবি, ছাত্রের মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অনলাইন গেমে আসক্তি। পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ।


অনলাইন গেমে আসক্তি? নাকি মানসিক অবসাদ? এর জেরেই কি প্রাণ গেল কলেজ পড়ুয়ার? কোচবিহারের তুফানগঞ্জে নিখোঁজ কলেজপড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উঠে এল এই প্রশ্নগুলো। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে, বারোকোদালি এলাকায় রায়ডাক নদীতে ভেসে ওঠে।


তুফানগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া স্বাগত মিশ্রর দেহ। তাঁর পকেট থেকে দুটি ধারাল ছুরি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, শনিবার ভোর থেকে নিখোঁজ ছিল স্বাগত। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল এই তরুণের?  তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর এই প্রেক্ষাপটে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


মৃতের পরিবারের দাবি,মেধাবী এই ছাত্র অনলাইনে একটি রাশিয়ান গেম খেলায় আসক্ত ছিল। পাশাপাশি মৃতের ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। যার উপরে লেখা, ‘ডিপ্রেসড ডায়েরি’ তার ভিতরে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে, ব্যক্তিগত ডায়েরি। এর থেকে দূরে থাকুন। না হলে, খুন করব। তাহলে কি অনলাইন গেমের আসক্তির জেরেই ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল এই কলেজছাত্রকে? 


মনোবিদ অনুপম মিত্র বলছেন, যুব সমাজ অনলাইন গেমে আসক্ত হচ্ছে, একটা কিলার ইনস্টিংট তৈরি হচ্ছে...অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছে...এটা থেকে বের হওয়া একটা চ্যালেঞ্জ।


প্রাথমিত তদন্তে পুলিশের অনুমান, জলে ডুবেই এই কলেজ পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি খতিয়ে দেখতে, মৃতের ল্যাপটপ ও ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ছাত্রের মৃত্যুর সঙ্গে অনলাইন গেম খেলার কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।


বছর তিনেক আগে, আতঙ্ক ছড়ায় নীল তিমি। ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জের ফাঁদে পা দিয়ে প্রাণ যায় বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার। ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ গেমের জন্মও রাশিয়ায়। এবার কোচবিহারে কলেজপড়ুয়ার মৃত্যুতেও পরিবারের কথায় উঠে আসছে একটি রাশিয়ান গেমের কথা।