কলকাতা: রোগীমৃত্যুর ঘটনায় অ্যাপোলো হাসপাতালের সাফাইয়ে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য সচিবের প্রাথমিক রিপোর্টে হাসপাতালের গাফিলতির উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রয়োজনে এফআইআরের ভাবনাচিন্তা করা হবে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।

গত ২২ তারিখ শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলির কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে টাউন হলের বৈঠকে সরকারের কঠোর মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ভাল কাজ করলে সরকার পাশে থাকবে। কিন্তু খারাপ কাজ করলে কমিটেড টু টেক স্ট্রিক্ট অ্যাকশন।

এই পরিস্থিতিতে ডানকুনির সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথাই ভাবছে নবান্ন।

প্রশাসনের শীর্ষস্তরের নির্দেশে শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্যভবনে অ্যাপোলো কর্তাদের ডেকে পাঠান স্বাস্থ্যসচিব। তার আগে মৃত সঞ্জয় রায়ের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। দু তরফের বক্তব্য খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করেন স্বাস্থ্যসচিব। নবান্ন গিয়ে ওই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে জমা দেন তিনি। এরপরই মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবকে নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নবান্ন সূত্রে খবর, সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক তদন্তে অ্যাপোলো হাসপাতালের গাফিলতি ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্যসচিবকে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে ফের তদন্ত করুন।

ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর প্রয়োজনে অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হতে পারে।

বিল না মেটানোয় ডানকুনির বাসিন্দা পথ দুর্ঘটনায় আহত সঞ্জয় রায়কে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী সেদিনের বৈঠকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এরকম আচরণ অর্থাত বিল বাকি থাকলে দেহ আটকে রাখা আর বরদাস্ত করবে না প্রশাসন।

বেসরকারি হাসপাতালের একাংশের এই দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে রাজ্য সরকারের কড়া অবস্থানের প্রেক্ষাপটে মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও।

সাধারণ মানুষের বক্তব্য, বেসরকারি হাসপাতালের দৌরাত্ম্য বন্ধে সঠিক পথই নিয়েছে প্রশাসন। ছবিটা বদলায় কিনা সেটাই দেখার।