কলকাতা: বৃহস্পতিবার ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার পথে জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন বেশি রাত্রেই নরেন্দ্র মোদি ফোন করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। হামলায় আহত হন কৈলাস। সূত্রের খবর, তাঁর বাঁ হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়েছে। আগামীদিনে আরও দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাওয়ার কথা তিনি বলেন কৈলাসকে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, তাঁকে ফোন করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও।


বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সভা। সেখানে যাওয়ার পথেই  শিরাকোলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির জগৎ প্রকাশ নাড্ডার কনভয়ে হামলা হয়! বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ - প্রত্যেকের গাড়ির কাচ ভেঙে ছত্রখান হয়ে যায়! এই নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে দোষারোপের পর্ব চলছেই।

অন্যদিকে, কনভয়ে হামলাকাণ্ডে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট দিলেন রাজ্যপাল।  হামলার পর রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যপালের রিপোর্টে যথেষ্ট নিরাপত্তা না থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কড়া পদক্ষেপ নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে তলব করা হয়েছে।  ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক।  সূত্রের খবর, রাজ্যপালের রিপোর্টে উল্লেখ, নাড্ডার জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিল না। রিপোর্টে রাজ্য পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করা হয়েছে।

শুক্রবার দীর্ঘ সাংবাদিক বৈঠকও করেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি কনভয়-হামলার ঘটনাকে বলেন 'গণতন্ত্রের লজ্জা'। তিনি আরও বলেন, '‘ আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্ক করছি, ভারতীয়দেরই বহিরাগত বলছেন! ...দয়া করে আগুন নিয়ে খেলবেন না’

বৃহস্পতিবারই ট্যুইটারে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। ধনকড় ট্যুইট করে বলেছেন, নৈরাজ্য ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির রিপোর্ট পেয়ে উদ্বিগ্ন। রিপোর্টে ইঙ্গিত, পুলিশের সমর্থনে শাসক দলের হার্মাদরা হামলা করেছে বিজেপি সভাপতির কনভয়ে। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-কে সকালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানানো সত্ত্বেও এটা ঘটল।

তার সৌজন্যে আরও একবার বিধানসভা ভোটের মুখে ফির এসেছে, সেই শব্দ, যা ২০১০ নাগাদ লাগাতার শোনা যেত তৎ‍কালীন বিরোধী তৃণমূল এবং এখনও বিরোধী, কংগ্রেসের গলায়, হার্মাদ!