সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: মর্মান্তিক মৃত্যু এক শিশুর! ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।   মাসখানেক আগে পঞ্চম শ্রেণীর ওই পড়ুয়ার  এক আত্মীয়ার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। সেই ঘটনা তার মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।  ওই আত্মীয় যেভাবে আত্মহত্যা করেছিলেন, তা  অনুকরণ করে আত্মঘাতী হল পঞ্চম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তাহেরপুর থানার দেবীপুর গেট পাড়ায়। বছর এগারো-র দীপ্তি মন্ডল স্থানীয় দেবীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।


 মৃত ছাত্রীর মা রুপালি মন্ডলের দাবি, প্রায় মাসখানেক আগে তাদের এক আত্মীয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময় দীপ্তি ওই মহিলার মত আত্মঘাতী হওয়ার কথা বারবার বাড়িতে বলতে থাকে।


আজ সকালে পরিবারের  সকলের অলক্ষ্যে বাড়ির ছোট একটি ঘরে গলায় গামছা জড়িয়ে আত্মঘাতী হয় দীপ্তি।  মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান ওই ছাত্রীর মা। তিনি তড়িঘড়ি গলার ফাঁস খুলে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাযন মেয়েকে। সেখানেই দীপ্তিকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। যদিও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য বাড়িতে তদন্তে আসে তাহেরপুর থানার পুলিশ।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার  দেগঙ্গায়  একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল।   দুই সন্তানকে নিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক  গৃহবধূ।  গত ২৯ জুলাই রাতে দেগঙ্গার গম্ভীর গাজি এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। দেড় বছরের মেয়ে ও পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরে ঝাঁপ দেন বছর তিরিশের গৃহবধূ। আজ সকালে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। কেন এ ধরনের পদক্ষেপ এই গৃহবধূ নিলেন, তা জানতে তদন্ত শুরু করে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।   প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, পারিবারিক অশান্তির জেরে এই ঘটনা। মৃতে গৃহবধূর  স্বামীকে গ্রেফতার করেছিল দেগঙ্গা থানার পুলিশ।