কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান: বৈকণ্ঠপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে। পঞ্চায়েত দফতরের মধ্যেই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে কটূক্তি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দলেরই কর্মীর বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের বৈকণ্ঠপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। অভিযোগ, তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান শর্মিলা মালিককে রীতিমতো শাসিয়ে হুমকি দেন তৃণমূলেরই দুই কর্মী। বর্ধমান থানায় গতকাল রাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মোজ্জামেল শা সহ ২ জন আচমকা পঞ্চায়েত প্রধানের ঘরে ঢুকে তাঁর কাছে এলাকার অনুন্নয়ন নিয়ে অভিযোগ জানান। সেই সময় তাঁরা প্রধানকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ ও প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্ত মোজ্জামেলের পাল্টা দাবি, প্রধানকে কোনওরকম গালিগালাজ করা বা হুমকি দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, কোচবিহারের দিনহাটায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যাতে উপনির্বাচনের আগে মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য পদক্ষেপ করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, জেলা নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া দিনহাটা মহকুমায় কোনও তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যাবে না। এর পরও যাঁরা যাঁরা অনাস্থা আনবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু তিনি সাংসদ পদ রেখে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ায় দিনহাটা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। তবে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, এই একই দিনে গোঘাটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এ দিন তৃণমূলের হাতেই আক্রান্ত তৃণমূল! ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা কর্মাধ্যক্ষকে। অভিযোগ, সোমবার হুগলির গোঘাট এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেত্রী শ্যামলী ঘোষকে এভাবেই হেনস্থা করেন দলের নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে হুগলির জেলা সহ সভাপতি মানস মজুমদারের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে জেলার সহ সভাপতির অপসারণের দাবিতে অবরোধ করেন তৃণমূলের কর্মীরাই।