সৌভিক মজুমদার,  কলকাতা: নন্দীগ্রাম মামলায় এজলাস বদলের আবেদন জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।এবার এই মামলা রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী।সর্বোচ্চ আদালতে এই মর্মে মামলা করেছেন তিনি। বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে, হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলাটি ওঠে।


কিন্তু, বিচারপতি প্রভাবিত হতে পারেন- এই আশঙ্কায়, অন্য এজলাসে মামলাটি পাঠানোর আবেদন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সওয়াল করেন, বিচারপতি চন্দের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ ছিল।  তিনি একসময় বিজেপির হয়ে একাধিক মামলা লড়েছেন। গত বুধবার, মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি কৌশিক চন্দ। মামলাটি ওঠে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে।


এবার এই মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে যে হলফনামা দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, বিচারপতি কৌশিক চন্দ যে রায় দিয়েছেন, তাতে চাপ তৈরির বিষয়টা স্পষ্ট। তাই অন্য রাজ্যে মামলা স্থানান্তর করা হোক।


এদিকে, নন্দীগ্রাম  বিধানসভা আসনে ভোট গণনা মামলায় নোটিস জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা ইলেকশন পিটিশনের ভিত্তিতে নোটিশ জারি করল আদালত। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত  নন্দীগ্রামের নির্বাচন সংক্রান্ত সব নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, সব নিয়ম মেনেই আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।


এর আগে, বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে নন্দীগ্রাম মামলা সরানোর আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। গত সপ্তাহে মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি চন্দ। সেই সঙ্গে মামলাকারী মমতাকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন তিনি।গত সোমবার মামলা ওঠে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে। আগামী ১২ই আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।