বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: মুখ্যমন্ত্রী আহত হওয়ার সাতদিন পর নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজার থেকে নমুনা সংগ্রহ করল ফরেন্সিক দল। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করেন, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির দরজা খোলা ছিল। 


গাড়ির দরজা দুটি খুঁটিতে ধাক্কা লাগলে পায়ে আঘাত পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিরুলিয়ার বাজারের কাছে দুটি খুঁটির দূরত্ব ও উচ্চতা মাপেন আধিকারিকরা। খুঁটিগুলিতে দরজার দাগ রয়েছে তা পরীক্ষা করা হয়।


গত ১৪ তারিখ মমতার আহত হওয়ার ঘটনায় রিপোর্ট পেশ করে নির্বাচন কমিশন। সেখানে বলা হয়, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর কোনও হামলা হয়নি। দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের গাফিলতিতেই তিনি আহত হয়েছেন। পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এমনটাই মনে করছে নির্বাচন কমিশন। 


 



 


একইসঙ্গে, গাফিলতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়কে সাসপেন্ড করে কঠোর অবস্থান নেয় নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে, সাসপেন্ড করা হয়পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশকে। সরিয়ে দেওয়া হয় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েলকে। 


যদিও, তৃণমূল বা মমতা তা মানতে নারাজ। গতকালও, তৃণমূলনেত্রী দাবি করেন, তাঁকে আঘাত করা হয়েছে। কেশিয়ারির সভা থেকে তিনি বলেন, মাথায় মেরেছে, হাতে মেরেছে, হাতটাই বাকি ছিল। আগে সিপিএমের হার্মাদরা মারত, তারাই এখন বিজেপির ওস্তাদ।


ফের একবার নিজের পায়ে চোট নিয়ে কার্যত বিজেপিকেই দায়ী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, পায়ের বদলা মা-বোনেদের পায়ে সম্মান জানিয়ে উসুল করব। হামলা করার পর এবার কুৎসা করছে, চরিত্র হরণ করছে। ওরা জানে মমতা ব্যানার্জি মানে মানুষের এনার্জি।


 



 


এখানেই থেম থাকেননি তিনি। নেত্রী বলেন, আমার পা উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আমি না বেরলে বাংলা দখল করে নেবে বিজেপি।


সূত্রের খবর, বুধবার কলকাতায় ফেরার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান চিকিত্‍সকরা। প্লাস্টার কেটে দেখা যায়, পায়ের ক্ষতে এখনও রক্ত জমে রয়েছে। পা ফুলে রয়েছে। চিকিত্‍সকরা ফের তাঁর পায়ে প্লাস্টার করে দেন। সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলেই মনে করছেন চিকিত্‍সকরা।