কলকাতা: নারদ মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পার্টি করা হলেও তাঁর হলফনামা জমা নেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১০ জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হলফনামা নিতে অস্বীকার করে কলকাতা হাইকোর্ট। আর এই বিষয়টিকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আজ সুপ্রিম কোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলার শুনানি হবে। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  ও রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের পৃথকভাবে দায়ের করা আর্জির শুনানি করবে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে নারদ মামলায় নেতা-মন্ত্রী সহ চার হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ওই দিন সিবিআইয়ের অফিস নিজাম প্যালেসের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই অফিসে পৌঁছে যান। অন্যদিকে, শুনানি চলাকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এ জন্য এই মামলায় মলয় ঘটক ও মুখ্যমন্ত্রীকে পক্ষ করেছে আদালত। কিন্তু হাইকোর্ট এই মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হলফনামা নিতে অস্বীকার করে।  
নারদা মামলা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছে সিবিআই। গত ৯ জুন সিবিআইয়ের আর্জির শুনানির সময় কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ বলেছিল যে,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটকের হলফনামা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 
এই মামলায় মলয় ঘটক ও রাজ্য সরকারের পক্ষে হাইকোর্টে সওয়াল করেছিলেন প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী ও বিকাশ সিংহ। তাঁরা বলেন যে, গত ১৭ মে-র ঘটনায় উক্ত দুই ব্যক্তির হলফনামা হাইকোর্টের রেকর্ড করা প্রয়োজন। দ্বিবেদী বলেছিলেন, আইনমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছিলেন এবং শুনানির সময় তিনি আদলতে ছিলেন না। এমনকি সিবিআইয়ের আধিকারিকরাও সেখানে ছিলেন না। কারণ, কেন্দ্রীয় এই সংস্থার আইনজীবীরাও অনলাইনে কাজ করেছিলেন। 
সিংহ আরও বলেন, নিয়ম অনুযায়ী, হলফনামা দায়েরের অধিকার রয়েছে। আর এক্ষেত্রে সিবিআই তিনটি হলফনামা দায়ের করেছে। এবং এক্ষেত্রে তারা আদালতের অনুমতি নেয়নি।