কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে কাঁকুড়গাছি, ভাটপাড়া, জগদ্দল ও আমডাঙায় গেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। স্থানীয় থানার সঙ্গেও কথা বলে প্রতিনিধি দল।
২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে অশান্তির ঘটনা। একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি।
জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় একাধিক মামলা। গত সপ্তাহে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, প্রয়োজনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অনুসন্ধান করতে পারে।
এর পরি শুক্রবার ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
গত এপ্রিলে আমডাঙা থানার খেলিয়া গ্রামে একটি বাগান থেকে সিপিএম কর্মী বলে পরিচিত রণজিৎ দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দুই প্রতিনিধি আমডাঙায় গিয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সদস্যরা কথা বলেন মৃতের পরিবারের সঙ্গেও। পরে আমডাঙ্গা থানার পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে।২৫ এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় অনুরাগ সাউ নামে এক যুবককে বোমা মেরে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।
২ মে ভোটের ফল ঘোষণার দিন ভাটপাড়ার স্থানীয় যুবক আকাশ যাদবকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠে। পরের দিন জগদ্দলের বিজেপি কর্মীর বৃদ্ধা মা শোভারানি মণ্ডলের মৃত্যুতেও অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
জগদ্দল ও ভাটপাড়ায় গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল।
অন্যদিকে কাঁকুড়গাছিতে ২ মে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা।