কলকাতা: শেষপর্যন্ত কোনও বুথে পুর্ননির্বাচন নেওয়া হচ্ছে না, তা সে যতই অভিযোগ থাক না কেন।  কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ ও হতাশ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
অনেক রহস্যের কিনারা হল না। মিলল না অভিযোগের সদুত্তর।  কোনও বুথেই পুনরায় ভোটগ্রহণের পথে হাঁটল না নির্বাচন কমিশন, তা সে যতই অভিযোগ থাক না কেন।
কাউকে কাউকে দেখা গেছে একাধিক ভোট দিতে। কোনও কোনও মন্ত্রীকে দেখা গেছে বুথে দাঁড়িয়ে ভোট নিয়ন্ত্রণ করতে। শাসকদলের কোনও নেতা আবার ইভিএম হাতে নিয়ে পরখ করে দেখেছেন ভোট ঠিক জায়গায় পড়ছে কিনা? তারপরেও কমিশনের অভিমত, ইভিএমের পরিবত্রতা নষ্ট হয়নি, ভোট প্রক্রিয়ায় বিঘ্নিত হয়নি।
৪ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটের পর দুটি বুথে ইভিএম খারাপ হওয়ায় পুনরায় ভোট করিয়েছিল নির্বাচন কমিশন,  ১১ এপ্রিল। কিন্তু, বাকী ৭ হাজার ২৪৫টি বুথে কোথাও কোনও অনিয়ম খুঁজে পায়নি কমিশন। স্বভাবতই যা নিয়ে বিস্মিত রাজনৈতিক দলগুলি। সিপিএম নেতা রবীন দেব জানান, কমিশনের সিদ্ধান্তে তিনি ক্ষুদ্ধ ও হতাশ। অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, কমিশনে সম্পর্কে যে শ্রদ্ধা তৈরি হয়েছিল, কমিশন তা নিজে হাতে নষ্ট করল। তাঁর আরও অভিযোগ, কমিশনের এই সিদ্ধান্ত তৃণমূল-বিজেপির সখ্যতারই প্রতিফলন।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্তা জানিয়েছেন, কমিশনের তরফ থেকে পুনর্নির্বাচনের কোনও নির্দেশ আসেনি।  যাবতীয় তৎপরতা এখন গণনাকে ঘিরে। ২০ তারিখেই দিল্লি থেকে আসছেন কমিশন কর্তারা।  সেদিনই বিজয়ী বিধায়কদের তালিকা রাজ্যপালের হাতে তুলে দেবেন তাঁরা।