সমীরণ পাল, শাসন(উত্তর ২৪ পরগনা): উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে পরিত্যক্ত শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে বিস্ফোরণে আহত ৩। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ হয় বলে দাবি পুলিশের। অন্যদিকে, এই জেলারই কামারহাটিতে পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৪টি তাজা বোমা। কারা বোমা রেখেছিল, তা খতিয়ে দেখছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।
মধ্যরাতে কেঁপে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার শাসন। শিশু-শিক্ষা কেন্দ্রে তীব্র বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়েছেন ৩ জন। শাসন থানার অন্তর্গত বালিপুর-বজবজিয়ার বাতাসে বারুদের গন্ধ, আর আপাত শান্ত এলাকার মানুষজনের চোখেমুখে এখন তীব্র আতঙ্ক।
আহত ৩ জনকে উদ্ধার করে বাগুইআটির নার্সিংহোমে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। আইনরক্ষকদের অনুমান, শনিবার রাতে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের পরিত্যক্ত ঘরে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। আচমকাই বোমা ফেটে আহত হয় ৩ জন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ভোটের ঠিক পরেই শাসনের ওই এলাকায় ২০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। দু’টি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরণকাণ্ডে এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, শনিবার কামারহাটির আনোয়ার বাগানে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ১৪টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। কীভাবে বোমা এল? বোমা বাধা হচ্ছিল কি না, খতিয়ে দেখছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। ওই বাড়িতে এক ব্যক্তি ভাড়ায় থাকতেন। তাঁরও খোঁজ চলছে।
এর আগে,চলতি মাসের গোড়ায়, এই জেলার জগদ্দলে একটি বিয়েবাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা। ভাঙচুর চালনো হয় মোটরবাইকে। যার জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পাল্টা হামলায় ভাঙচুর করা হয় দোকান, বাড়ি, সিসিটিভি ক্যামেরা।
পুলিশ জানায়, দু’ দল দুষ্কৃতীর মধ্যে বোমাবাজি হয়। প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করেন স্থানীয়রা। মিনিট চল্লিশ অবরোধ চলে। ঘটনাস্থলে গেলে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়।
পাশাপাশি, ভাটপাড়াতেও বোমাবাজি হয়, যাতে মৃত্যু হয় এক অ্যাপ নির্ভর বাইক চালকের। বাড়ির চৌকাঠের সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন এই যুবক। তখনই এক দুষ্কৃতী এসে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
তার একদিন আগে, ভাটপাড়াতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি চললে তিন পুলিশকর্মী জখম হন। ওই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।