সুদীপ চক্রবর্তী, রায়গঞ্জ: দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলবিরোধী কাজের অভিযোগে উত্তর দিনাজপুরে বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত হলেন এক নেতা। ভাল লোককে বসিয়ে দিয়ে দল চালাচ্ছে অসভ্যরা, জেলা সভাপতিকে নিশানা করে অভিযোগ বহিষ্কৃত নেতার। বারবার সতর্ক করার পরেও শুধরোননি, তাই বহিষ্কার। পাল্টা যুক্তি জেলা সভাপতির। কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
উত্তর দিনাজপুরে বিজেপির ঘরে কোন্দল চলছেই। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দল বিরোধী কাজের অভিযোগে পদ্ম শিবির থেকে বহিষ্কার করা হল বলরাম চক্রবর্তীকে। তিনি উত্তর দিনাজপুরে বিজেপির পরিষেবা সেলের আহ্বায়ক ছিলেন।
গত ৪ অগাস্ট দলের জেলা সভাপতির অপসারণ চেয়ে বিজেপি জেলা কার্যালয়ে সদলবলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বলরাম। টাকার বিনিময়ে দলের দখলে থাকা পঞ্চায়েতকে শাসকদলের হাতে তুলে দেওয়া, অর্থের নয়ছয়, স্বজনপোষণ --- এমন একাধিক অভিযোগে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি।
দশদিনের মধ্যে বর্তমান জেলা সভাপতিকে পদ থেকে না সরালে জেলা কার্যালয়ে রিলে অনশনেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ওই ঘটনার ৯ দিনের মাথায় বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত হলেন বলরাম। যাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তিনি, সেই জেলা সভাপতিই করলেন ঘোষণা।
উত্তর দিনাজপুরে বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, এর আগেও দল বিরোধী কাজের অভিয়োগে শোকজ করা হয়েছিল। তার উত্তরও দিয়েছিল। তারপরেও লাগাতার দলবহিরোধী কাজ। তাই বহিষ্কার।
বহিষ্কৃত নেতা বলরাম চক্রবর্তী বলেন, আমাদের জেলা সভাপতি অসভ্য, ইতর। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর অঙ্গুলিহেলনে এই বাসুদেবকে জেলা সভাপতি করা হয়। তার প্রতিবাদ করায় আমাকে বহিষ্কার। আমাকে এই দল উপযুক্ত সম্মান দিল না। যদি অন্য দল সম্মান পায়, তাহলে অবশ্যই যাব।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে শাসক দল। উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরিন্দম সরকার বলেন, পুরনো লোকেরা কদর পাচ্ছে না। কর্পোরেট লোক দিয়ে চলছে বিজেপি। পুরনো লোকের কদর নেই। বিজপি ছেড়ে তৃণমূলে আসতে হলে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত হয়ে আসতে হবে।
পদ্মছাড়া হয়ে কি ঘাসফুল শিবিরে যাবেন বলরাম? উত্তর দেবে সময়।