সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: ল্যাপটপ চুরির অপবাদ জুটেছিল ছাত্রের। তাতেই কি আত্মহত্যা করল নাবালক? মঙ্গলবার এক ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার ১০ নম্বর মাড়াইকুড়া গ্রামপঞ্চায়েতের কসবা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম নিলয় বসু (১৭)। মৃতের পরিবারের অভিযোগ সোমবার রাতে অলোক রায় নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার, কৌশিক ঘোষ নামে এক শিক্ষক ও নিলয়ের কয়েকজন বন্ধু নিলয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর সে আর বাড়ি ফেরেনি।
পরিবার সূত্রে খবর, পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে একটি বিলের কাছে গাছের মধ্যে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ওই ছাত্রের। পরিবারের অভিযোগ নিলয়কে মেরে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কসবা এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অলোক রায়ের বাড়িতে কৌশিক ঘোষ নামের একজন শিক্ষক ভাড়া থাকেন। ওই শিক্ষকের একটি ল্যাপটপ চুরি যায়। অভিযোগ, এরপরই শিক্ষক কৌশিক ঘোষ এবং তাঁর বাড়িওয়ালা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অলোক রায়সহ বেশ কয়েকজন নিলয়ের বাড়িতে এসে ল্যাপটপ বের করে দিতে বলে।
সোমবার রাতে নিলয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চলে যায় তারা। এরপর সারা রাত আর বাড়ি ফেরেনি নিলয়। মঙ্গলবার সকালে এলাকারই একটি বিলের কাছে গাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় নিলয় বসুর৷ মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অলোক রায়ের স্ত্রী। যদিও ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে রয়েছেন ওই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অলোক রায় এবং তাঁর ভাড়াটিয়া শিক্ষক কৌশিক ঘোষ।