পাণ্ডবেশ্বর: মৃত ও অন্যত্র চলে যাওয়ার বাসিন্দাদের ভোটার স্লিপ না দেওয়ার জের। পাণ্ডবেশ্বরে মহিলা ভোটকর্মীর গায়ে গরম চা ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও, এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। বর্ধমান শিল্পাঞ্চলের তৃণমূল সভাপতির দাবি, তাঁর কাছে এনিয়ে কোনও খবর নেই।

ভোটের সময় বুথে থাকায়, কেশপুরে সিপিএমের এক মহিলা এজেন্টকে নগ্ন করে ঘোরানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

ভোট মেটার পর পাণ্ডবেশ্বরে এক মহিলা বুথ লেভেল অফিসারের গায়ে গরম চা ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সেই শাসক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই।

কিন্তু, কী কারণে ভোটকর্মীর এমন মর্মান্তিক পরিণতি?

অভিযোগ, তৃণমূলের ছাপ্পার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েই, তাঁদের রোষে পড়তে হয়েছে ভোটকর্মীকে।

বুথ লেভেল অফিসাররাই ভোটারদের কাছে ভোটার স্লিপ পৌঁছে দেন। তা দেখিয়েই ভোট দিতে হয়। পাণ্ডবেশ্বরের ৩৯ নম্বর বুথের বিএলও  বুথ লেভেল অফিসার প্রণতি বাগদির দাবি,

সোমবার ভোটের আগে কয়েকজন তৃণমূলকর্মী তাঁর কাছে আসেন। এই বুথ এলাকার যে ভোটারদের মৃত্যু হয়েছে, যারা বাড়ি পাল্টে অন্যত্র চলে গিয়েছে, যারা জেলে, তাদের ভোটার স্লিপ চান তৃণমূলকর্মীরা। প্রণতি বাগদির দাবি, জোরাজুরি সত্ত্বেও তিনি কোনও ভোটার স্লিপ তৃণমূলকর্মীদের দেননি।

কিন্তু, তার পরিণতি কী হবে, সেটা তখনও আঁচ করতে পারেননি এই মহিলা ভোটকর্মী। তাঁর দাবি, বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় বুথের বাইরে তাঁকে ঘিরে ধরেন একদল তৃণমূলকর্মী। অকথ্য গালিগালাজের পর তৃণমূলকর্মীরা তাঁর গায়ে গরম চা ঢেলে দেন বলে অভিযোগ।

এরপরই বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানাতে যান ভোটকর্মী। কিন্তু, বিডিও তাঁকে জানান, এই ঘটনা যেহেতু বুথের বাইরে ঘটেছে, তাই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে হবে। সেইমতো শেষমেশ পাণ্ডবেশ্বর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান প্রণতী বাগদি।

ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ধমান শিল্পাঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,

আমার কাছে এরকম কোনও খবর নেই। খোঁজ নিয়ে বলব।

অনেকে বলছেন, দু’দফা ভোটের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে শাসকের বিরুদ্ধে। ভোটকর্মীরাও কি তা থেকে নিস্তার পাবেন না? রাজ্যে এ কোন সংস্কৃতির আমদানি হচ্ছে?