কলকাতা:  নয়া বিতর্কে বহিষ্কৃত সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস। বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের তরুণীর। ৫০ লক্ষ চেয়ে চাপ, না দেওয়ায় মিথ্যে অভিযোগ, পাল্টা দাবি বহিষ্কৃত সিপিএম সাংসদের।


প্রসঙ্গত, সিপিএম থেকে বহিষ্কারের পর ফের নয়া বিতর্কে জড়ালেন ঋতব্রত। তাঁর বিরুদ্ধে নম্রতা দত্ত নামে এক তরুণীর অভিযোগ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন ঋতব্রত। সেই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়েরও করেছেন তরুণী। এমনকি আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন ঋতব্রত, দাবি সেই তরুণীর। এরপর একের পর এক ট্যুইট করে গোটা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন নম্রতা।

এদিকে এই পুরো অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মর্মে তিনি বালুরঘাটের নম্রতা দত্তের বিরুদ্ধে ৬ অক্টোবর গড়ফা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগপত্রে ঋতব্রতর দাবি করেন, প্রথমে নম্রতাকে তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন।  তারপর থেকে বার বার ওই তরুণী টাকা পয়সা চাইতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।

ঋতব্রতর দাবি, এ বছর ২০ জুলাই চিকিৎ‍সার জন্য তরুণী ফের টাকা চাইলে তিনি ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু, চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকে। অভিযোগ, তিনি টাকা দিতে পারবেন না বলতেই চাপ তৈরি করতে শুরু করেন তরুণী। হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা না দিলে মামলা করা হবে। নিজের এই দাবির স্বপক্ষে, হোয়াটসঅ্যাপের একটি স্ক্রিন শটও পুলিশকে দিয়েছেন ঋতব্রত। যা তিনি আপলোড করেছেন টুইটারে। ঋতব্রতর দাবি, ৪ অক্টোবর তিনি নম্রতা দত্তকে ফের আড়াই লক্ষ টাকা দেন। তারপরেও হুমকি চলতে থাকে বলে অভিযোগ।

ঋতব্রতর দাবি, তাঁর ভাবমূর্তি, রাজনৈতিক কেরিয়ার এবং সম্পত্তি নষ্টের জন্য মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর পিছনে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির হাত রয়েছে বলেও দাবি ঋতব্রতর।