ঝাড়গ্রাম:  মুখ্যমন্ত্রীর তিরস্কারের পরেই পদ হারালেন মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ চূড়ামণি মাহাতো। ঝাড়গ্রাম জেলার তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে অপসারিত।
বুধবার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিকেলে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করবেন মুকুল রায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এর ঠিক আগে দলীয় পদ হারালেন মুকুল-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, জঙ্গলমহলের হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতা!
জঙ্গলমহল সফরে গিয়ে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই পারফরম্যান্স নিয়ে দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোকে তিরস্কার করেন তৃণমূলনেত্রী। নেত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়ে, জনসংযোগ নিয়ে নানা সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেন চূড়ামণি। কিন্তু আদিবাসী উন্নয়ন ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণমন্ত্রীর কোনও যুক্তিই ধোপে টেকেনি!
প্রশাসনিক বৈঠকের চূড়ামণিকে সতর্ক করার পর, দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই চূড়ামণি মাহাতোকে ঝাড়গ্রামের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেন তিনি। ঝাড়গ্রামে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতিকে।
গোপীবল্লভপুরের তৃণমূল বিধায়ক চূড়ামণি, বরাবরই মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সূত্রের খবর, দলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর, প্রকাশ্যে মুকুল রায়ের প্রশংসাও করেন তিনি! আর এর ক’দিনের মাথায় পদ থেকে সরানো হল চূড়ামণি মাহাতোকে! পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে মমতা যে বার্তাটা দিতে চাইলেন, তা হল মুকুল রায়ের সঙ্গে তলে তলে দলের কেউ যোগাযোগ রাখলে তাঁকে রেয়াত করা হবে না।