মুন্না অগ্রবাল, দক্ষিণ দিনাজপুর: দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে ঝড়ে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক জনের। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ প্রচণ্ড ঝড়ে এলাকায় বহু বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়ে ৷ গাছপালা ভেঙে রাস্তা ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। কুমারগঞ্জের ভৌর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাস পাড়াতে এক আদিবাসী পরিবারের সরকারি আবাস যোজনায় তৈরি বাড়ির দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মেলছো সরেন (৬০) নামের এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ৷ স্বামী রবি মার্ডি,সঙ্গে অন্ধ মেয়ে এবং তার তিন বছর ও এক বছরের শিশু সন্তান সমেত আহত অবস্থায় কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


কুমারগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী মানস সরকার হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাওয়ার পাশাপাশি উপড়ে পড়া গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কারে হাত লাগান। এদিন সকালে কুমারগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী তোরাফ হোসেন মন্ডল কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে মৃত ও আহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি ঝড় কবলিত এলাকার দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি।


এদিকে এই ঘটনায় আবাস যোজনা ঘরের নিম্নমানের কাজের অভিযোগ ওঠায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় এদিন এলাকায় যান বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং কুমারগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী মানস সরকার। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দেওয়াল চাপা পড়ার ঘটনায় ঘর তৈরিতে নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী মানস সরকার জানান, কুমারগঞ্জ জুড়ে গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। আহতদের কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতাল অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। হাসপাতালে জেনারেটর ব্যবস্থা ছিলনা। এমনকি মোমবাতি পর্যন্ত নেই। অন্ধকারেই আহতদের ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ।


অপরদিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ জানান, দুর্যোগের সময় রাজনীতি করা উচিত নয়। সকলের দুর্গতদের পাশে থাকা উচিত। এ বিষয়ে উপযুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলাশাসককে জানানো হয়েছে।


এদিকে রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচনে ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ আগামী ১০ এপ্রিল, শনিবার। ওই ৪৪ আসনের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১১, হাওড়ায় ৯, হুগলিতে ১০, কোচবিহারে ৯ এবং আলিপুরদুয়ারের ৫টি আসন রয়েছে। বাংলায় প্রথম দফায় ৩০, দ্বিতীয় দফায় ৩০ এবং তৃতীয় দফায় ৩১ আসনে ভোট হয়েছে। তবে গত ৩ দফার তুলনায় চতুর্থ দফায় নজরে থাকা প্রার্থীর সংখ্যা একটু বেশিই। শনিবার রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটের দিনে রাজ্যে জোড়া সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার প্রথমটি শিলিগুড়িতে। সেই সভায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পাশে চান নরন্দ্র মোদি। শুক্রবার বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন উত্তরবঙ্গ সফররত থাকা দিলীপ ঘোষের মোদির সমাবেশে থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই ৷