কলকাতা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর: তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, রিগিংয়ের অভিযোগে ভোট বয়কট করল বিরোধীরা। পুনর্নির্বাচনের দাবিতে এক সুরে সরব হল কংগ্রেস-বাম-বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের গলায়।
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ ডোমকলে ভোট বয়কটের কথা ঘোষণা করে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দাবি তোলেন, পুনর্নির্বাচন করতে হবে। দুপুর ২টো নাগাদ, ডোমকলে ভোট বয়কটের পথে হাটে বিজেপিও। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, সন্ত্রাসের ভোট হয়েছে। আমরা পুনরায় ভোট চাই। বাদ যায়নি সিপিএমও। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের দাবি, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। বলেন, যা হয়েছে প্রসহন। ভোট লুঠ হয়েছে। এই নির্বাচনকে বাতিল করতে হবে। বাতিল করলেও যে ভাল হবে সেই আশা আমরা করি না।
তৃণমূল অবশ্য বিরোধীদের তোলা সন্ত্রাস-রিগিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। ডোমকল পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সৌমিক হোসেনের কটাক্ষ, মানুষের সঙ্গে (ভোট বয়কট) সম্পর্ক নেই। (বিরোধীরা) হার বুঝে প্রত্যাহার করেছে।
ভোট শেষ হওয়ার ঘণ্টা চারেক আগে, রায়গঞ্জেও নির্বাচনের ময়দান থেকে সরে আসে বাম-কংগ্রেস জোট। বিরোধীদের অভিযোগকে অবশ্য গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি অমল আচার্য বলেন, ৭০ শতাংশ ভোট তো হয়েই গিয়েছে। এখন আর প্রত্যাহার করার মানে কী?
এর আগে, ২০১৩ সালে, বর্ধমান পুর নির্বাচনে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ভোট বয়কট করেছিল বামেরা৷ তৃণমূল তখনও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল। এবার ডোমকল, পূজালি, রায়গঞ্জের পুরভোটেও অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ নিয়ে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর তুঙ্গে।