মুর্শিদাবাদ: রবিবার, ডোমকলের ভোটে দেখা গিয়েছে অস্ত্রের আস্ফালন...উঠেছে বোমাবাজি, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ।ভোটের ফল ঘোষণার দিনও শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের ফলকে তুলে ধরে ফের রিগিংয়ের অভিযোগকেই হাতিয়ার করছে বিরোধীরা।

ডোমকলে এবার তৃণমূলের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সৌমিক হোসেন। তিনি দাঁড়িয়েছিলেন পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। সেই পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে সৌমিক হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৯২৭টি ভোট।সিপিএম মাত্র ৯০টি।সৌমিক হোসেনের এই ওয়ার্ডে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১টি ভোট।

ডোমকলের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডেই এমন ছবি। সিংহভাগ ভোটই তৃণমূলের ঘরে।

যেমন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী একাই পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৬১টি ভোট।

সেখানে সিপিএম প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৮৭টি ভোট।

বিজেপি ২৮টি।

ডোমকলের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল যেখানে পেয়েছে ৩ হাজার ৪০টি ভোট

সেখানে সিপিএম পেয়েছে মাত্র ৪৯টি।

ডোমকলের ১ নম্বর ওয়ার্ডেও একই ছবি। তৃণমূল ৩ হাজার ৬৯৮টি ভোট পেয়েছে।

সিপিএম পেয়েছে ৮২টি ভোট।

বিজেপি ৮টি।

ডোমকলের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১ হাজার ৯৩৪টি ভোট পেয়েছে।

সিপিএম পেয়েছে ৮২টি ভোট।

বিজেপি ১৮টি ভোট পেয়েছে।

বিরোধীদের অভিযোগ, ভোট লুঠ হয়েছে। তাই সব ভোট তৃণমূলে।

তৃণমূল অবশ্য বিরোধীদের তোলা রিগিংয়ের অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, মানুষ তৃণমূলকে ঢেলে ভোট দিয়েছে। সৌমিক হোসেনের প্রশ্ন, ছাপ্পা ভোট হলে তিনটি ওয়ার্ডে বিরোধীরা জিতল কী করে? বিরোধীদের মানুষ ভোট না দিলে তৃণমূল কী করবে?

ভোটের আগে থেকেই পারদ তুঙ্গে। ভোটের দিনও ছিল চরম উত্তেজনা। ভোটের পরও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না ডোমকলের।