বীরভূম: পেটে খিদে নিয়ে কী আর ভোটের কাজ হয়! তাই দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল দল। আর সেই খাওয়া নিয়েই বাধল তৃণমূলের বিবাদ! রাস্তায় পড়ে থাকল ভাত-তরকারি! খাওয়া ছেড়ে বাঁশ-লাঠি-গাছের ডাল নিয়ে পরস্পরের দিকে তেড়ে গেল বিবদমান দু’পক্ষ! অন্যরকম সংঘাতের ঘটনা ঘটল বীরভূমের নানুরে।
বুধবার মনোনয়ন পর্বের তৃতীয় দিনে দলের কর্মীদের জন্য ব্লক পার্টি অফিসে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। মেনুতে ছিল ভাত, তরকারি, ডিমের ঝোল। দুপুরে খেতে বসেছিল পাপুড়ির তৃণমূলকর্মীরা। যাঁরা কাজল শেখের অনুগামী বলে পরিচিত। খাবার পরিবেশন করছিলেন গদাধর হাজরার অনুগামীরা।

খেতে বসে কাজল অনুগামীরা বলেন, নানুরের লোকেরা ২টো করে ডিম পেয়েছে। আমাদেরও দিতে হবে। কিন্তু তা মানতে চায়নি গদাধর গোষ্ঠী। অভিযোগ, এ নিয়েই শুরু হয় বচসা। খেতে খেতে আচমকাই পরিবেশনকারীদের একজনের মুখে ঘুসি মারেন একজন। এরপরই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পড়ে থাকে খাবার। শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি! পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পাপুড়ির তৃণমূলকর্মীদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও। আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের সহ সভাপতি বিমল নস্কর। অভিযোগের আঙুল আরাবুল ইসলামের অনুগামীদের দিকে। অভিযোগকারী তৃণমূল নেতা বিমল নস্কর বলেন, ওরা মারছিল, বলছিল আরাবুলের বিরোধিতা করবি? ওরা ভেবেছিল আমি হয়তো নমিনেশন দেব। আটকে মারধর ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেয়।
কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এই তৃণমূল নেতা। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আরাবুল ইসলামের প্রতিক্রিয়া, এই ঘটনার নিন্দা করছি। তবে এটা পারিবারিক কারণে ঘটেছে। পুলিশ দোষীদের খুঁজে বের করুক। মনোনয়ন ঘিরে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে উত্তরবঙ্গেও। কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকে শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষের মাঝে পড়ে জখম হয়েছেন ৬ সাংবাদিক। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।