উত্তর ২৪ পরগনা: মনোনয়ন পর্ব শেষ। ক’দিন পরেই পঞ্চায়েত ভোট। এরমধ্যেই শাসনে প্রকাশ্যে খুন হলেন তৃণমূল নেতা। গণপ্রহারে মৃত্যু হল হামলাকারীরও।
স্থানীয় পঞ্চায়েত এবার বিনা প্রতিদ্বন্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। সেই উপলক্ষ্যে বুধবার দুপুরে টাকি রোডে বিজয় মিছিল করছিল তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের ফলতি-বেলিয়াঘাটার অঞ্চল সভাপতি সাইপার রহমান।
অভিযোগ, আচমকাই পিছন থেকে সাইপারের ওপর হামলা চালায় তাঁরই পরিচিত রজ্জব মোল্লা। ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় শাসক দলের নেতাকে!!! এরপর হামলাকারী রজ্জব মোল্লাকে ধরে ফেলেন তৃণমূল কর্মীরা। গণপ্রহারে তিনিও গুরুতর জখম হন। বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো আক্রোশের জেরেই এই খুন। কারণ সূত্রের খবর, পেশায় মাংস বিক্রেতা রজ্জবের সঙ্গে তাঁর ভাইদের গণ্ডগোল চলছিল। ভাইদের ৪০ হাজার টাকা দিয়ে বিবাদ মিটিয়ে নিতে বলেছিলেন সাইপার রহমান।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, ইটভাটায় তোলাবাজি করত রজ্জব। তারও প্রতিবাদ করেছিলেন তৃণমূলের ফলতি-বেলিয়াঘাটার অঞ্চল সভাপতি। যদিও এই ঘটনা ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
ঘটনার পরই টেলিফোনে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দাবি করেন, খুনের নেপথ্যে বিজেপির ইন্ধন আছে। এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় বিজেপি। পরে জ্যোতিপ্রিয় দাবি করেন, খুনে অভিযুক্ত সিপিএম সমর্থক। সিপিএমের পাল্টা দাবি, এটা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব।
এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। প্রকাশ্যে দাপুটে তৃণমূল নেতা-সহ ২ জনের খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।