কলকাতা: আজ বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের সময় বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাল্টা শুভেন্দু বলেছেন, ‘রাজ্যপালকে লিখে দেওয়া ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসার উল্লেখ নেই। তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।’


সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ বলেন, ‘অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আমি এই ভাষণ বিধানসভায় উপস্থাপিত করলাম। তিনি প্রতিবাদ করেছেন বলে বিরোধী দলনেতা যে বীরত্ব দেখাচ্ছেন, সেটা ফানুসে পরিণত হয়েছে। রাজ্যপালের হয়ে অনেকে কথা বলেছেন, তাঁরা কিন্তু বিধানসভায় ছিলেন না। রাজ্যপালকে বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। রাজ্যপালের ভাষণের সময় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। প্রত্যেক বিধায়কের কাছে রাজ্যপালের ভাষণের কপি গেছে। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে দিবাস্বপ্ন দেখছেন।’


পার্থ আরও বলেন, ‘আগে রাজ্যপালের ভাষণের সময় আমরা উষ্মা প্রকাশ করেছি, কিন্তু, মার্জিতভাবে করেছিলাম। রাজ্যপাল তো বেরিয়ে যাননি। রাজ্যপাল তো সোচ্চার হননি, রাজ্যপাল তো প্রতিবাদ করেননি। যাঁদের বিধানসভার জ্ঞান কম, তাঁরা প্রতিবাদ করতে গেছেন। সরকার প্রদত্ত ভাষণকেই গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল। কোনও অতিরিক্ত কথা বলেননি রাজ্যপাল। রাজ্যপালের ভাষণের ওপর যখন আলোচনা হবে, তখন আমাদের মতামত দেব। কেন্দ্রের কাছে বিজেপি দাবি করুক, রাজ্যকে কেন ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে না? কেন্দ্র ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে না। অভিযোগের পরেও ভ্যাকসিন মেলেনি।’


সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাসভবনে শুভেন্দুর যাওয়া প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, ‘তুষার মেহতার বাড়িতে কি বিড়াল ঢুকেছিল? সমস্তটাই তো সিসিটিভিতে বন্দি, সেটা দেখা হোক। যে কেউ তুষার মেহতার বাড়িতে ঢুকে পড়তে পারে! দরজা দিয়ে ঢুকলেন, এখন বলছেন ঢোকেননি। বিধায়করা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরবে, এমন কোনওদিন হয়নি।’


নিজেদের কর্মসূচি সম্পর্কে পার্থ জানিয়েছেন, ‘সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছি। তৃণমূল কংগ্রেসের বেশিরভাগ বিধায়কই নবনির্বাচিত। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেছেন, তোমাদের অনেক শেখার আছে।’