মালদা: মালদার মানিকচক স্কুল মাঠে দিলীপ ঘোষের সভার অনুমতি বাতিল। মঙ্গলবার ওই এলাকায় দলীয় কর্মীর জমিতে সভা করার হুঁশিয়ারি গেরুয়া শিবিরের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমতি নেই, তাই অনুমতি মেলেনি। দাবি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের।


২০২১-এর ভোটের আগে চড়ছে পারদ। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। তার মধ্যেই ফের সভা করার অনুমতি ঘিরে শুরু তরজা।

বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মালদার মনিকচক থানা এলাকার মথুরাপুরে বাণেশ্বর সিংহ সিংহি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দিলীপ ঘোষের সভা। তার জন্য এক সপ্তাহ আগে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার স্কুলের তরফে সভা করা যাবে না বলে জানানো হয়। কিন্তু কেন অনুমতি দেওয়া হল না? বি এস এস স্কুলের প্রধান শিক্ষক অতীন দাসের যুক্তি, স্কুলের অনুষ্ঠান ছাড়া স্কুল মাঠে অন্য কোনও অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে অনুমতি আনতে হয়। বিজেপি অনুমতি আনতে পারেনি। তাই সভার অনুমতি পায়নি।

যদিও এ নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধেছে পদ্ম-শিবির। মঙ্গলবার ওই এলাকাতেই সভা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। মালদা জেলা বিজেপি সহ সভাপতি সন্তোষ মণ্ডলের দাবি, ‘দিলীপ ঘোষকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। তাই তাঁর সভা বানচাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মানিকচকের মথুরাপুরেই সভা হবে দিলীপের। জনজোয়ার হবে। শাসকদলের চাপে স্কুল অনুমতি দেয়নি। বিকল্প জমি খোঁজা হচ্ছে। আমাদের কোনও কর্মীর জমিতে সভা হবে।’

পাল্টা মালদার তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকারের দাবি, ‘দিলীপ ঘোষ সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কথা বলেন। উস্কানিমূলক কথা বললে এলাকার পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। সেই কারণেই স্কুল অনুমতি দেয়নি। তৃণমূলের বাধা দেওয়া কিছু নেই।’

বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে যাওয়ার সময় বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই দিন নাড্ডার যাত্রাপথে শিরাকোল মোড়ে কৃষি আইনের প্রতিবাদে সভা করে তৃণমূল। যার অনুমতি ছিল না বলে স্বীকার করেছেন রাজ্যের শাসক দলের বিধায়কই।

একদিকে দিলীপ ঘোষের সভার অনুমতি না পাওয়া। অন্যদিকে বিনা অনুমতিতে তৃণমূলের সভা করা। ভোটের আগে এই ইস্যুতে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।