পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ভোট আসে, জঙ্গল মহলের ‘উন্নয়ন’-এর খতিয়ান তুলে ধরেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কিন্তু সেই জঙ্গল মহলের রাস্তাই শুধুমাত্র সংস্কারের অভাবে হয়ে উঠছে দূর্ঘটনাপ্রবণ।
জঙ্গলমহল তথা দক্ষিণ বাঁকুড়ার অন্যতম সমৃদ্ধশালী জনপদ রাইপুর ও সারেঙ্গা। কিন্তু সেই রাইপুর থেকে ভায়া বাসুদেবপুর-বাগজাতা সারেঙ্গাগামী অন্যতম প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তাই আজ বিপদসঙ্কুল। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এই রাস্তায় তৈরি হয়েছে বিশালাকার সব গর্ত। আর যা নিয়ে তৈরি হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর।
স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী গাড়ির চালকরা বলছেন, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর এই রাস্তা নতুন করে তৈরি করা হয়। কিন্তু তার ৬ মাসের মধ্যেই ওই পিচ রাস্তার উপর তৈরি হয় বিশালাকার গর্ত। বর্তমান সময়ে ওই রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
এ বিষয়ে বিজেপির রাঢ় বঙ্গ জোন কমিটির কনভেনর পার্থ কুণ্ডুর অভিযোগ, ‘প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে ওই রাস্তার আজ এই অবস্থা। এলাকার মানুষ বারবার রাস্তা সংস্কারের দাবি জানালেও, প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। এবার দাবি পূরণ না হলে ওই এলাকার মানুষকে নিয়ে বিজেপি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।’
স্থানীয় বিধায়ক ও বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু জানিয়েছেন, ‘ওই রাস্তার টেণ্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।’
বাঁকুড়ার মতোই বীরভূমেও রাস্তার হাল বেহাল। বীরভূমের নলহাটি থেকে মোরগ্রাম, ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের হাল বেহাল। পিচ থেকে আলগা হয়ে গিয়েছে পাথর। বড় বড় গর্তে জমেছে জল। আর এর ওপর দিয়েই চলছে মালবাহী গাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু কবে এই রাস্তার সংস্কার হবে, তা নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
খারাপ রাস্তায় প্রতিনিয়ত গাড়ি নিয়ে ছুটতে হচ্ছে। তাতে দুর্ঘটনা যেমন বাড়ছে, তেমনই গাড়িরও ক্ষতি হচ্ছে, বলছেন চালকরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার এ নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।