কলকাতা: আজই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন জঙ্গিপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে কথা চলছিল প্রণব-পুত্রের। আজ বিকেল ৪টেয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেবেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।


তার আগে এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন প্রণব-পুত্র। 


অভিজিৎ মুখোপাধ্য়ায় বললেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে আমরা বামেদের সঙ্গে লড়াই করছি। মানুষ নেননি। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে রোখার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লিডারশিপ দেখিয়েছেন, মানুষ গ্রহণ করছেন। সিপিএম-কংগ্রেসের জোট ভুল।


অভিজিৎবাবু জানান, ভোটের আগে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। ভোটের পরও কথা হয়েছে। ৯ জুন, রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও তৃণমূলের দুই সাংসদ, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভবনে গিয়ে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 


এরপর, ২১ জুন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। তারপরই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।


জঙ্গিপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ২০১০ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তৃণমূলে আসার জন্য। ভোটের পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়। আমি তখন জিজ্ঞেস করেছিলাম, পুরনো অফার কি এখনও আছে?


বাবা আমৃত্যু ছিলেন কংগ্রেসে। আর, বাবার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীর আগেই, কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন প্রণব-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। কংগ্রেসের টিকিটে জঙ্গিপুর থেকে দু’বার সাংসদ। নলহাটি থেকে একবার বিধায়ক। সেই অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এদিনই সম্ভবত হাতে তুলে নিতে চলেছেন ঘাসফুলের পতাকা।
 
বাবা বেঁচে থাকলে কি করতেন? তার উত্তরও দিয়েছেন প্রণব-পুত্র। বললেন, রাহুল গাঁধীর জন্য যা যা করেছেন সনিয়া গাঁধী, প্রণববাবু কি আমাদের জন্য তা করেছেন? বাবা ছিলেন নিরপেক্ষ। বেঁচে থাকলে বলতেন, সিদ্ধান্ত তোমার নিজের। 


পুরনো দল ও রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সম্পর্কে ভাল কথা বললেও, রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি উষ্মা চেপে রাখেননি অভিজিৎ। বললেন, কংগ্রেসের ভবিষ্যত আছে, রাহুল গাঁধী একজন জেনটেলম্যান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাহুলের চিন্তাধারার প্রয়োগ হচ্ছে না।